এতদিন যা ছিল আকাশপথে এবার সেটা নেমে এল ধরাধামে। কলকাতা স্টেশন থেকে উদ্ধার হল একেবারে দু’কোটি টাকার সোনা। আগে একবার হাওড়া স্টেশন থেকে সোনা উদ্ধার হয়েছিল। এবার কলকাতা স্টেশন সংলগ্ন উড়ালপুল থেকে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তিকে আটক করল জিআরপি। আর তাদের তল্লাশি ✨চালাতেই প্রায় তিন কেজি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হল। তারপরে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন 🅠পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে রেল পুলিশ? রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সুভাষচন্দ্র এবং কামার দান। এই দু’জনের বাড়ি♏ রাজস্থানে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় দু’কোটি টাকা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ সোনা সংক্রান্ত কোনও নথি তারা দেখাতে পারেনি। এদেরকে গ্রেফতার করে শিয়ালদা রেল পুলিশ বিশেষ আদালতে তুললে বিচারক তাদের একসপ্তাহের পুলিশ হꦏেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতরা সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। আগেও বড়বাজারে থেকে সোনা তারা সংগ্রহ করেছিল। জেরা করে তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? জিআরপি সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার ব্যাগ নিয়ে স্টেশনের উড়ালপুল দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল সুভাষ ও কামার। তাদের আচরণ স্বাভ🍌াবিক ছিল না। সেটা দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত জিআরপি কর্মীদের। তখন ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই দু’জনের কথায় নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে 🧔যায়। বিষয়টি গোলমেলে বুঝতে পেরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। তারপর সুভাষ ও কামারের সঙ্গে থাকা ব্যဣাগ তল্লাশি করলে সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৩০টি সোনার বিস্কুট। একটি সোনার বিস্কুটের ওজন ১১৬ গ্রাম বলে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার ওজন প্রায় তিন কেজি।
সোনা কী পাচার করা হচ্ছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা সোনা পাচার আগেও করেছিল। বড়বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা যোধপুর এক্সপ্রেসে হাওড়ায় এসেছিল। সেখান থেকে বড়বাজারে গিয়ে সোনা নেয় এক কারবারির কাছ থেকে। তারপর ওই সোনা নিয়ে রাজস্থানে যাওয়ার জন্য কলকাতা স্টেশনে পৌঁছে যায় দু’জন। সেখান থেকে অনন্যা এক্সপ্রꦬেসে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ধরা পড়ে গেল তারা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HꦍT App ডাউনল🐽োড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup