এখন স্মার্ট ফোনে সকলেই হোয়াটসঅ্যাপ করে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করছেন, গরম কেমন পড়েছে? উত্তরে লেখা হচ্ছে, পরান যায় জ্বলিয়া রে। রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে এটা সবাই অনুভব করছেন। সরকারি স্কুল গরমের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। পরিস্থি🦄তি দিন দিন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। আর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, এখন মানুষজন এই গরম থেকে বাঁচতে ‘ওআরএস’ কিনে রাখছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ওষুধের দোকানে এখন মহার্ঘ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ‘ওআরএস’। এই দাবদাহ কবে কমবে? তা হলফ করে বলতে পারছে না আবহাওয়া দফতরও। সুতরাং ওআরএস কেনার প্রবণতা বাড়ছে।
এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর গোটা পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। আর তাই তারা সতর্কতা ব্যবস্থা হিসাবে ২০ লাখ প্যাকেট ‘ওআরএস’ কিনেছে। খোলা বাজারে ওআরএস–এর চাহিদা এখন তুঙ্গে বেড়েছে। তবে শুধু শহর কলকাতায় বেশি বিক্রি হচ্ছে ওআরএস এমন ব্যাপার নয়। পুরুলিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই ওআরএস বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে বলেই খবর। ওরাল রিহাইড্রেশন সল্টের (ওআরএস) গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং মানুষকে♛ সচেতন করতে প্রত্যেক বছর ২৯ জুলাই ‘ওআরএস দিবস’ পালিত হয়। যার প্🌺রধান উদ্দেশ্য— শুধু ডায়েরিয়ার জন্য নয়। শরীরে জলের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে ওআরএসের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা। সেখানে জুলাই মাসের আগেই মহার্ঘ হয়ে উঠেছে ‘ওআরএস’।
আরও পড়ুন: আবার সমাবর্তন স্থগিত র♉াখার সিদ্ধান্ত রাজ্যপ𝔉ালের, চাপে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যদিকে এই ‘ওআরএস’ রাজ্যে সরবরাহ বাড়াতে ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটাররা। এই বিষয়ে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, ‘একমাসে রাজ্যের খোলা বাজারে রেকর্ড পরিমাণ ‘ওআরএস’ বিক্রি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, �🧸�সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে দু’সপ্তাহে কোটি টাকার ‘ওআরএস’ বিক্রি হয়েছে নানা কোম্পানির।’ ন্যাশনাল হেলথ পোর্টাল অনুযায়ী, ওআরএস অর্থ ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট। যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে। এতে জলের অভাব পূরণ হয়। সোডিয়ামের সঙ্গে গ্লুকোজ এবং জল তীব্র ডায়েরিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা।