নবরাত্রির মধ্যে শিশু বলি দিলে গর্ভবতী হবে স্ত্রী। আর সে নিজেও সন্তানের মুখ দেখবে। তবে যাকে বলি দিতে হবে, তাকে হতে হবে কন্যাসন্তান। বয়স সাত থেকে আট বছরের মধ্যে। সন্তান লাভের আশায় এক তান্ত্রিকের পরামর্শে তিলজলার এক শিশুকে খুন করেছে অলোক কুমার। জেরায় পুলিশের কাছে নিজেই খুনের কথা স্বীকার করেছে সে। আর সন্তানকে হারিয়ে এখন🔯 কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা। যিনি নিজের কন্যাকে রবি♛বার সকালে আবর্জনা স্থানীয় ভ্যাটে ফেলে আসতে বলেছিলেন। আর সেটাই জীবিত অবস্থায় তাঁর মায়ের মেয়েকে শেষ দেখা।
এদিকে 🧜তিলজলায় শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তৎপর হল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে এই ঘটনা নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই নাবালিকার ময়নাতদনꦯ্তের রিপোর্ট বলছে, গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই শিশুকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় আঘাত করা হয়েছে ভারী কিছু দিয়ে। অলোকের উদ্দেশ্য ছিল, মৃতদেহটি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শবসাধনা করা। তন্ত্রমন্ত্র করার জন্য খুনের পর ওই শিশুর আঙুল থেকে তুলে নেওয়া হয় নখ, মাথার চুল। কাটা হয় কানও। উত্তর কলকাতার যে তান্ত্রিকের পরামর্শে সে এই কাজ করেছে, তার খোঁজ করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন নিহত শিশুর মা? অন্যদিকে এই ঘটনায় চরম শোকে পড়েছেন নিহত শিশুটির মা। তিনি সংবা﷽দমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমি প্রথম অলোক কুমারের ফ্ল্যাটে যাই। আমি মেয়েকে দেখতে পাইনি। কারণ জুটের ব্যাগের মধ্যে তাকে পুড়ে ফেলা হয়েছে। পরে দেখি তার জিভ বেরিয়ে রয়েছে। আর সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সারা শরীরে কালো দাগ ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, কেউ তার কানে এবং কপালে বড় আঘাত করেছে। আমার মেয়ের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মুখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্ত নিশ্ﷺচয়ই আমার মেয়ের শরীরে বারংবার আঘাত করেছিল। খুন করার জন্য।’