এবার ইলিশ মাছের জোগান বেশি। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ইলিশ মাছের জোগান বেশি হলেও দামও বেশি হয়েছে। তাই তা এখন পাতে তোলা যাচ্ছে না। কিন্তু এবার এই রূপোলি ফসলের দাম কমার ইঙ্গিত মিলেছে। জোগান বেশি থাকায় তা পাওয়া যাবে দুর্গাপুজো পর্যন্ত। ফলে মাছে–ভাতে বাঙালি পুজোর সময় এই ইলিশ মাছ সস্তায় 🍒পাবেন। তাই এই বছর দুর্গাপুজো পর্যন্ত ইলিশ উপভোগ করতে পারবেন সকলেই। গত বছরের তুলনায় এই বছর অনেক বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। যার প্রভাব ইলিশ মাছের দামে এবার পড়বে বলে মন♏ে করা হচ্ছে।
এদিকে ইলিশ মাছের দাম বেশি নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বিধানসভায় বলেছেন, ‘গত বছর ইলিশের উৎপাদন হয়েছিল ৫৫৭১ মেট্রিক টন। যা এই বছর এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার মেট্রিক টন। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি দুই মাসের জন্য ইলিশ মাছ 𒊎ধরার নিষেধাজ্ঞ✨া করা হয়েছিল। যার ফলে এই বছর অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছে।’ রাজ্যের মৎস্য দফতর ২০২৪ সালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা করেছে।
অন্যদিকে উৎপাদন বেশি হওয়ায় সব বাজারেই পৌঁছে গিয়েছে ইলিশ মাছ। মৎস্যজীবী সমিতির অনুমান, চলতি বছর উ🍃ৎপাদন ১৭ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। কারণ বর্ষা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। তাতেই আশা করা হচ্ছে ইলিশের জোগান আরও বাড়বে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘আমরা আশা করি দুর্গাপুজো পর্যন্ত অন্তত ১৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ মৎস্যজীবীদের জালে উঠবে।’ দিঘা–কোলাঘাট মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ধরা হয়েছে ২৫০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ। যা দুর্গাপুজো পর্যন্ত ২ হাজার টন হꦺতে পারে।
আরও পড়ুন: আয়ুষ্মান ভারত ক🌊ি চালু হবে বাংলায়? রাজ্যে পা রেখেই সরব হ꧅লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
তাছাড়া এবার জায়মন্ডহারবার এবং দিঘা ব্যাপক পরিমাণে ইলিশ মাছ তুলে দিয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, রাজ্য ছোট মাছের উৎপাদন বাড়ানোও দরকার। তাই মৌরালা, পুটি, বেলে, চান্দা–সহ অন্যান্য মাছ চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেছেন, ছোট মাছ চাষের জন্য তিনি শীঘ্রই রাজ্যের মৎস্য দফতরের কাছে তিন বিঘা পরিমাপের একটি জলাশয় হস্তꦫান্তর করবেন। আর ইলিশ মাছ আর কিছুদিনের মধ্যে সস্তা হয়ে পড়লে দুর্গাপুজো পর্যন্ত তা বাঙালির পাতে ঘো✅রাফেরা করবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।