একটি মাদক সংক্রান্ত মামলায় পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া সত্ত্বেও ৬০০ দিন ধ𒉰রে বন্দি রয়েছেন এক যুবক। সেই মামলায় স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। স෴েই মতোই আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। আদালতে হাজিরা দিতেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র সচিব। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এনিয়ে তাঁকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন রাজ্যে🃏র উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন⛄ বিচারপতি বাগচী। রাজ্য কী মাদক মামলার পরীক্ষা না করিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে𒀰 চাইছে? এই পর⛦ীক্ষা কী পৃথিবীতে প্রথম হচ্ছে? এমনই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে। বিচারপতি বাগচী পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘এ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাদক ঢুকছে। অথচ মাদক সংক্রান্ত রাজ্যের কোনও নির্দেশিকা নেই! এই ধরনের সাধারণ মাদক পরীক্ষারও ব্যবস্থা নেই! পরীক্ষার রিপোর্ট আটকে থাকার ফলে মামলাও আটকে থাকছে। এটা চলতে পারে না।’ দ্রুত মাদক পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, মাদক পরীক্ষার জন্য রাজ্যের তরফে দুটি যন্ত্র কেনা হয়েছে। কিন্তু, তার রাসায়নিক পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও রাজ্যের এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হয়নি আদালতের কাছে। তবে শেষমেষ রাজ্যের তরফে জা🌼নানো হয় বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মামলার বয়ান অনুযায়ী, জাহাঙ্গীর মণ্ডল নামে এক যুবককে বনগাঁ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মেথামফেটামাইন। এটি এক ধরনের মাদক। তবে তা কী ধরনের তা জানার জন্য গাজিয়াবাদের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। কারণ এই ধরনের কোনও পরীক্ষাগার পশ্চিমবঙ্গে নেই। কিন্তু, ৬০০ দি🧸ন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি পুলিশের কাছে। এরপর এই স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে পাঠায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।