আমফানে ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট এবার তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত বছর আমফান বিপর্যয়ের পর ত্রাণ বণ্টন নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, ত্রাণ সামগ্রী দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে। আমফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে দুর্নীতির ঘটনা কীভাবে ঘটে? মামলায় যে অভিযোগ উঠেছে, সেবিষয়ে রাজ্য সরকারের মতামত কী। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, বিষযটি সবিস্তারে জেনে রিপোর্ট দিতে চায় রাজ্য। এরপরই আদালতের তরফে জানানো হয়, আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেন এই বিষয়ে যেন সবিস্তারে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য সরকার।২০২০ সালে রাজ্য সরকারের তরফে বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকে আমফানের ত্রাণ বিলি করতে ঘোরারস কুলীন গ্রামে পাঁচ ট্রাক ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়। সেই সামগ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাড়ির গোডাউনে বেআইনি মজুত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, মালতিপুর স্টেশনের আশেপাশের এলাকা থেকে দুই ট্রাক বোঝাই ত্রাণ সামগ্রী গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকা থেকেই ত্রাণ সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে মাটিয়া থানায় মামলা রুজু করে।আমফান বিপর্যয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আকাশ পথে ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্গতদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, কানাকড়িও দেননি তিনি। তা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ বণ্টনের ক্ষেত্রে রাজ্যের কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বহিষ্কার করা হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-পঞ্চায়েত-প্রধানকে।