দলনেত্রীর নির্দেশের ✨পরেও হাওড়া কার্নিভালে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে পুর প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর ওপর রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির হামলার ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরের শৃঙ্খলা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বিরোধীরা। তাদের দাবি, দলনেত্রীর নির্দেশের পরও এই মারপিটের ঘটনায় কি দলের ওপর মমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে তৃণমূলকে নিয়ন্ত্রণ করছে কে? না কি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন বিশৃঙ্খল সংগঠনে পরিণত হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
বিরোধীদের প্রশ্ন, সাধারণ কর্মী তো দূরের কথা, নিজের মন🐎্ত্রী ও বিধায়কদের ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণ কি রয়েছে? একই প্রশ্ন ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরেও। তাদেরও দাবি, দলের একাংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন তৃণমূলনেত্রী। নইলে দলনেত্রীর নির্দেশের পরেও অরূপ বিশ্বাসের সামনে সুজয় চক্রবর্তীকে ধাক্কা দেওয়ার সাহস কী হল মনোজ তিওয়ারির?
বিজেপির যুব নেতা দেবজিৎ সরকার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন? তৃণমূলকে কোনও মানুষ নিয়ন্ত্রণ করে না। তৃণমূলকে নিয়ন্ত্রণ করে শুধু টাকা। ওখানেও টাকা তোলা নিয়েই 🌞বিবাদ। যে যত বেশি টাকা তুলে দিতে পারবে তৃণমূলে তার উন্নতি হবে তত দ্রুত। এব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অসহায়।
বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলকে কোনও ব্যক্তি নয়, তৃণমূলকে চালায় টাকা। পিসি না ভাইপো কার লোক টাকা তুলবে তাই নিয়ে ওখানে বিবাদ। টাকার ভাগ নিয়ে দুপক্ষের মারামারি। এটাই তৃণমূল। এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। যারা টাকা তুলছেন তারা জানেন শেষ༒ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত তাদের মাথাতেই থাকবে। সেজন্যই এতটা বেপরোয়া তারা।
বিকাশবাবুর সংযোজন, রাজ্যে তৃণমূ♚ল – বিজেপির লড়াইটা অনেকটা এই কার্নিভালের মতো। যতই নিজেদের মধ্যে মারামারি হোক দু’দলই মানুষকে লুঠ বন্ধ রাখে না।