তাঁর মতো মানুষের ‘পালস’ নাকি কেউ বুঝতে পারেন না। ২০১১ সালে তিনি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বলেছিলেন, সেটার পিছনেও তাঁর সেই গুণের অবদান কম ছিল না। আর শনিবার কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ট্রেডমার্ক রূপটাই দেখা গেল। আচমকা জুনিয়র ডাক্তার𝓡দের ধরনামঞ্চে চলে গিয়ে আবেগ দিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন। নিজেকে তুলে ধরলেন ‘দি♌দি’ হিসেবে। নিজেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘সহযোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত করলেন। সেইসঙ্গে দাবি করলেন যে শনিবার রাতভর যখন বৃষ্টি হয়েছে, তখন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ভেবে দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি। বৃষ্টির রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা যে কষ্ট পেয়েছেন, সেটা অনুভব করেছেন তিনি নিজেও। যদিও তাঁর সেই ট্রেডমার্ক 'গুণ' কতটা সফল হবে, সেটা সময়ই বলবে। জুনিয়র ডাক্তাররাও ইতিমধ্যে বার্তা দিয়ে রেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে এসেছেন, সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের দাবি মানতে হবে।
‘আপনারা রাস্তায় থাকলে আমায় পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়’
শনিবার আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকের ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে যেটা বলতে এসেছি, কাল সারারাত ঝড়-জল হয়েছে। আপনারা যখন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও সারারাত ঘুমাতে পারিনি। আমারও কষ্ট হয়েছে। আমারও কষ্ট হয়েছে। এই ঝড়-জলের মধ্যে আপনারা যেভাবে বসে আছেন, আমার মানসিকভাবে কষ্ট হচ্ছে। আমিও কিন্তু রাতের পর রাত ঘুমাইনি। কারণ আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন, আপনাদের জন্য আমায়ও কিন্তু পাহারাদার ꦉহিসেবে জেগে থাকতে হয়।’
‘মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবক’ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিক্রিয়া
মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমত🐻া রাজ্যের অভিভাবক। তাই তিনি যে কোনও জায়গায় আসতে পারেন। তিনি যে ধরনা মঞ্চে এসেছেন, সেটা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তাঁকে সাধুবাদ জানানো হচ্ছে। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে আজ যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখালেন, তা আগের ৩৪ দিনে দেখা যায়নি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে বৈঠক
তাঁরা আরও জানান যে মুখ্যᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚমন্ত্রী যেখানে বৈঠক করতে ডাকবেন, সেখানেই তাঁরা যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসার কথা🔯 বলছেন। সেটাই বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। কিন্তু তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সেইসঙ্গে নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরই বৈঠক করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ‘জাস্টিস’ চাই🧸ছেন। র𝔉য়েছে আরও কয়েকটি দাবি।