বিমানবন্দর ত♊ৈরির জন্য জোর করে জমি নেওয়া হলে কোনওভাবেই মানব না। ভাঙড়ে বিমানবন্দর তৈরির জন্য সরকারের জমি অধি♔গ্রহণের পরিকল্পনার এইভাবেই বিরোধিতা করলেন এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
দমদমে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি কলকাতার কাছে আরও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে যাতে একসঙ্গে অনেকটা জমি পাওয়া যায়, সেজন্য জেলা প্রশাসনকে জমি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী। ভাঙড়ে বিমানবন্দর তৈরির জন্য জমি দেখা নিয়ে এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানান, ‘বিমানবন্দর তৈরি হলে ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের অস্তিত্ব লোপ পাবে। হাজা𓃲র হাজার মানুষ যাদের মধ্যে অধিকাংশই সংখ্যালঘু, তাঁরা যাবেন কোথায়? বিমানবন্দর তৈরির নামে তিন থেকে চার ফসলি জমি অধিগৃহীত হবে। সাধারণ মানুষের কৃষি জমি চলে যাবে। ফের কি তাহলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে?’ একইসঙ্গে তিনি জানান, বিমানবন্দর তৈরির নামে জোর করে মানুষকে ভিটে ছাড়া করা হলে তা কোনওভাবেই মানব না। তাঁর প্রশ্ন, এখনকার সরকার কি জমি অধিগ্রহণ নীতি থেকে সরে আসছে? আমরা দেখেছি, রাজারহাটে হাজার বিঘে জমি অধিগ্রহণ করে সংখ্যালঘু গরিব নিম্নবর্গীয় শ্রেণির কী অবস্থা হয়েছে।
বিমানবন্দর তৈরির ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করলেও ভাঙড়ের বিধায়ক জানান, রেলের মানচিত্রে ভাঙড়কে সংযুক্তিকরণে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের জন্য উন্নত মানের হিমঘর তৈরির ব্যবস্থা করুন। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করুন। জনপ্রতিনিধি হিসাবে সম্পূর্ণ সহ⛄যোগিতা করব।