খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র ফয়জান আহমেদকে খুন করা হয়েছিল। আর এটা জানা যায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর্যবেক্ষণে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রথম ময়নাতদন্তে এই ঘটনাকে নিছক আত্মহত্য়া বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সামনে নিয়ে আসা হল খুনের তত্ত্ব। যাঁর নেতৃত্বে ফয়জানের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়েছিল তিনিই বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। তখনই গোটা সাজানো চিত্র ভেঙে চু🐲রমার হয়ে যౠায়। কিন্তু এটা আসলে সম্পূর্ণ খুন বলে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত। এই ঘটনা নিয়ে তিনিই শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। এবার আর তথ্য মিলল।
এদিকে দেশ–বিদেশের কৃতীদের মধ্যে সবসময় দেখা গিয়েছে আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়াদের। এখন তো নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনিও আইআইটি’র পড়ুয়া ছিলেন। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের নামও আইআইটি’র সঙ্গে জড়িত। সেখানে🌟 এমন ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এমনকী এখানে ছেলে–মেয়েদের পড়াতে চান অভিভাবকরা। সেখানে পড়ুয়াকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার ছক ধরা পড়ায় অনেকের বুক কেঁপেඣ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একইরকম ঘটনা ঘটেছে। র্যাগিং করতে গিয়ে কার্যত খুন করা হয়েছে ছাত্রকে বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে ফয়জানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি থেকে তাঁর উপর হওয়া র্যাগিংয়ের তথ্য পান গোয়েন্দারা। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ফয়জান র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ছিলেন। এতে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন পড়ুয়া। এই রহস⛎্যের কিনারা করতে কলকাতা হাইকোর্ট আইপিএস কে জয়রামনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফয়জানের আতꦯ্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে খুনের তত্ত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনায় যেভাবে খুনের অভিযোগ সামনে আসে তাতে হাড়হিম করে দেওয়ার মতো। এই প্রথমবার তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত।
আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে প্রধান♊ পদ থেকে তাড়িয়ে দেব’, 🍸হুঁশিয়ারি সওকত মোল্লার
ঠিক কী জানাচ্ছেন তিনি? ফয়জানের দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, রহস্য়জনকভাবে পচন ধরলেও শরীরের নানা অংশে ত্বকের রঙ ছিল আলাদা। তিনদিন পরও মৃতদেহ থেকে কোনও দুর্গন্ধ পর্যন্ত বের হয়নি। এটাই প্রথম সন্দেহের সূত্রপাত। এই বিষয়ে অজয়কুমার গুপ্তের দাবি, ‘হস্টেলের ঘরে মিলেছিল রাসায়নিকের ক্য়ান। যা মাংস সংরক্ষণে কাজে লাগে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আরও কিছু প্রমাণ মেলায় খুনের বিষয়টি কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়।’ হস্টেলের ওই ঘরে দুই গ্রুপের রক্তের দাগ মিলেছিল। এই সবের উপর নির্ভর করেই অজয়কুমার গুপ্ত কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া পর্যবেক্ষণে জানান, এটা আত্মহত্য়া নয় হত্য়া। এবার আদালতের তৈরি করে দেওয়া সিটের তদন্ত সেটা উঠে আসে কিনা ক্রমশ প্রকাশ্য। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আইআইটি’র হস্টেলে𒊎র ঘর থেকে উদ্ধার হয় ফয়জনের দেহ। তাঁর পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়।