꧒ এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি। এই ধাক্কা লাগতেই প্রতিবাদ জানান বিচারপতির গাড়ির চালক। তখন তাঁকে সপাটে ‘চড়’ মারেন বিধায়কের গাড়ির চালক বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল কালিকাপুর এলাকায়। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী–সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ভাঙড়ের বিধায়কের চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
🦂তবে এখানেই শেষ নয়, কলকাতার গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর দাবি, বিচারপতির গাড়ির চালক যেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এই পরিস্থিতি দেখে গাড়ি থেকে বিধায়ক নিজেও নেমে পড়েছিলেন বলে খবর। এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জয়নগর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তখন তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। বাধ্য হয়ে কলকাতা ফিরতে হয় বিধায়ককে। আর ফেরার পথে ইএম বাইপাসের কালিকাপুর এলাকায় বিচারপতি চন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে ধাক্কা মারে নওশাদের গাড়ি বলে অভিযোগ।
🧸এদিকে দুটি গাড়ির রেষারেষি চলছিল বলে সূত্রের খবর। তার জেরেই ধাক্কা লাগে বলে অভিযোগ। ইএম বাইপাসের উপর দিয়ে গাড়ি তীব্র গতিতে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তার জেরে ধাক্কা লেগেছে। তবে বড় পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দুটি গাড়িই। এই ধাক্কা লাগার পর গাড়ি থেকে নেমে নওশাদের গাড়ির চালককে প্রতিবাদ জানান বিচারপতির চালক। সেখান থেকেই হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধায়কের চালক তখন বিচারকের চালককে সপাটে চড় মেরেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকী, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে বলেই খবর।
আরও পড়ুন: ꧑ভাইফোঁটার দিনে দাদার সামনে বোনকে পিষে দিল ট্র্যাক্টর, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা বীরভূমে
🅘অন্যদিকে এই ঘটনাটি নিয়ে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানান, মঙ্গলবার তিনি জয়নগর থেকে ফেরার সময় দেখেন তাঁর কনভয়ের গাড়িকে বারবার চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে আর একটি গাড়ি। তাঁর গাড়িকে ওভারটেক করে ওই গাড়ি এসে সামনে দাঁড়ায়। তখন আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বিধায়ক। অন্য গাড়িতে ছিলেন এক ব্যক্তি এবং এক মহিলা। তাঁদের তখন বিধায়ক জানান, তাঁদের গাড়ির চালক যেভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ওই ঘটনার পর যে মামলা দায়ের হয়েছে সেটা তিনি জানেন না।