কয়েকশো নতুন এসি বসানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবꦯে যত্রতত্র এসি বসানোর ফলে ঘটছে বিপত্তি। একদিকে, যেমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা হচ্ছে, তাতে ল্যাবরেটরি সহ বিভিন্ন বিভাগের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, বিপুল অঙ্কের বিল আসছে প্রচুর সংখ্যক এসি চলার ফলে। এই অবস্থায় কোথায় এসি বসানো যাবে বা কোথায় বসানো যাবে না ত💟া ঠিক করতে একটি সাব কমিটি তৈরি করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কমিটি সবকিছু খতিয়ে দেখে নতুন এসি বসানোর ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেবে।
আরও পড়ুন: স্যারജ মালাটা পরে নিন, ওআরএস খান! প্রতিবাদের একী রূপ! যাদবপুরে ‘থ্রেট কালচার♎’
বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬০০ এর বেশি এসি রয়েছে। কিন্তু, নতুন করে আরও আড়াইশোটি এসি বসানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছে। নতুন এসি বসানোর ক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এই সাব কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, কোথাও নতুন এসি বসানোর প্রয়োজন হলে বিভাগীয় প্রধানরা সে বিষয়ে আবেদন জানাবেন সাব কমিটির কাছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে সাব কমিটি ღতাতে ছাড়পত্র দেবে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে দুটি লাইনে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। এরমধ্যে একটি লাইন সাপ্লাই যাচ্ছে আর্ট সায়েন্সের দিকে, আরেকটি যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে। তবে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লোড তুলনামূলকভাবে কম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এসির লোড বেশি থাকায় বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগকে। অনেক ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন দিন বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে ল্যাবরেটরির কাজ যেমন ব্যাহত হয় তেমনি পঠনপাঠন অথবা অফিসিয়াল কাজও ব্যাহত হয়। মূলত এসির কারণেই এই সমস্যা হ🌊চ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী ধরনের এসি বসাতে হবে সে বিষয়টিও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে অন্তত থ্রি স্টার এসি কিনতে হবে বলে জানানো হয়েছে (মূলত এসিতে স্টার বেশি থাকলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও বেশি হয়)। এছাড়াও, ২৪ বা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে এসি চালানো যাবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে লোড যেমন কমবে তেমনি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। শুধু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা নয়, গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সংকটে ভুগছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতে বছরের ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাই এসি বসানোর ক্ষেত্রে সে বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির কাছে খরচ কমানো ও আয় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবের মধ্যে বিদ্যুতের বিল কমানোর কথাও জানানো হয়েছিল। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানান, এসির ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ ক♓মাতে বিশেষজ্ঞ 🉐কমিটি তৈরি করা হয়েছে।