যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল। সুতরাং ভর্তি হওয়া যাবে না পিএইচডি করার জন্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল অফ আর্টসের অধীনে পিএইচডি ভর্তি প্রক্রিয়া শুক্রবারই এক নির্দেশিকা জারি করে স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। তবে কেন এই স্থগিত প্রক্রিয়া? উঠছে প্রশ্ন। যদিও কোনও উত্তর ম༺েলেনি। এমনকী লেখা নেই কোনও কারণ জারি করা নির্দেশিকায়। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসের অন্দরে।
উপাচার্যের বক্তব্য ঠিক কী? এই ঘটনার সঙ্গে ইউজিসি’র নিয়ম না মানার যোগ আছে বলে মনে করেন যাদবপুর বিশ্বဣবিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর কথায, ‘পিএইচডি–তে ভর্তির বিষয় নিয়ে আমি আমার কিছু মতামত জানিয়েছিলাম। ইউজিসি’র নিয়ম মেনে হয়নি। তাই আমি কিছু মতামত রেখেছিলাম। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ বুদ্ধবাবুর কথা যদি সত্যি হয় তাহলে এখানে একটা অনিয়ম চলছিল বলে খবর। উপাচার্যকে অন্ধকারে রেখে তা চলছিল বলেই ধরে নেওয়া যায়।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য꧃ালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শনিবার যে মন্তব্য করেছেন তাতে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। আজ, শনিবার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ দাবি করেন, ‘আমি নিয়ম মেনে যা করার করতে বলেছি।’ তাহলে আগে নিয়ম মানা হচ্ছিল না? পিএইচডি ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ম না মেনেই হচ্ছিল? উঠছে প্রশ্ন। উপাচার্যের অভিযোগ, যে নির্দিষ্ট সংখ্যক স্কলারদের নেওয়া উচিত সেই নিয়ম মানা হচ্ছিল না। সুতরাং এখানে চূড়ান্ত অনিয়ম চলছিল বলেই সিলমোহর দিলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির পক্ষ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ১০ তারিখ পিএইচডি–তে ভর্তি নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দলীয় কর্মীকে মারলেন একের পর এক চড়, রণংদেহি মে🃏জাজ বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজের
এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক কবে হবে? অন্যদিকে এই প্রশ্নের উত্তর সবাই জানতে চাইলেও কিছু বলা হয়নি। এই নিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি লেখা হয়েছে। তবে সেটি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের অনুমোদনের জন্য। তার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে পিএইচডি ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। আর্টস ফ্যাকাল্টিতে প্রথমে পিএইচডি’র জন্য রেজিস্ট্রশন হয়, সুপারভাইজার অ্যালোকেশন হয় না। আর যখন সুপারভাইজার অ্যালোকেশন হয়, তখন ইউজিসি’র নিয়ম মেনে সংখ্যা ঠিক হয়। এটা অনেকে জানেন না। ডক্টরেট কমি⛄টির বৈঠকে উপাচার্য ছিলেন। তার পরেই লিস্ট অনুমোদন হয়েছে ও ওয়েবসাইটে বেরিয়েছে বলে সূত্রের খবর।