বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের কাছেই তিনি ভগবান। আবার সেই বিচারপღতিকে 'সিপিএমের ক্যাডার' বলে কার্যত দাগিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু তারপরেও সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে ঘিরে বাংলার স্বতস্ফূর্ত আবেগে এতটুকু ভাটা পড়েনি। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নামে💜 তৈরি হয়েছে ফ্যানস ক্লাব। সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিচারপতির নামে ফ্য়ান পেজ। সেখানে রোজই পোস্ট করা হচ্ছে বাংলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতির একের পর এক পদক্ষেপ।
এর আগে দমদম ক্যান্টনমেন্ট🦋ের গোরাবাজার সংঘমিত্রা ক্লাবের মাতৃ আরাধনায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নামে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। তারপর মঙ্গলবার বেহালায় তাঁকে বাংলার গর্ব আখ্য়া দিয়ে হোর্ডিং টাঙানো হয়। এবার তাঁর নামে ফ্যানস ক্লাবও তৈরি হচ্ছে।
সূত্রের খবর মূলত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিতরা মিলে এই ক্লাব তৈরি করেছেন। তবে একটা নয় সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই ধরনের একাধিক ফ্য়ানস ক্লাব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নামে করা হয়েছে। সেখানে শুধু যে বিচারপতির প্রশস্তি আর তৃণমূলকে তুলোধোনা করা হচ্ছে তেমনটা নয়, রাজ্যের ব꧋িরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেও তির ছোঁড়া হয়েছে একাধিক পেজ থেকে। সেখানে লেখা হয়েছে অন্তত ১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট। বলছেন শুভেন্দু। প্রশ্ন তোলা হয়েছে আর আপনি?
এর সঙ্গেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিচারপতিকে নিয়ে অনেক কথা বলছেন বলেও ফ্য়ানস ক্লাবের তরফ🧜ে তুলে ধরা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের♌ মতে, একটা সময় বাংলায় শুধু নয় গোটা দেশে প্রিয় অভিনেতা, অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ফ্য়ানস ক্লাব তৈরির নজির রয়েছে। কিন্তু বিচারপতিকে নিয়ে ফ্যানস ক্লাব তৈরি কার্যত নজিরবিহীন।
সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও কলকাতা হাইকোর্টের ছবি দিয়🦋ে এই ধরনের একাধিক ফ্যানস ক্লাব তৈরি হয়েছে। জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলি নামে একাধিক পেজও রয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে চাকরি দুর্নীতি নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়ার নানা আপডেট দেওয়া হয়।
আসলে অনেকের মতে, এত বড় দুঃসময়ে হয়তো বাংলাকে এর আগে পড়ত🧸ে হয়নি। শাসকদলের একের পর এক বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে। বিচারককে নিশানা করে কাদা ছুঁড়ছেন সেই শাসকদলের নেতা। আবার বিরোধীদের উপরেও আস্থা রাখতে পারছেন না🌜 সাধারণ মানুষ। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই বঞ্চিত মানুষের দল তাকিয়ে রয়েছেন বিচারপতির দিকে, বিচার ব্যবস্থার দিকে।এমনকী বিচারপতির নাম শুনলেই নিজের অজান্তেই কপালে দুটো হাত ঠেকাচ্ছেন অনেকে। এই ছবিও বহুদিন পরে দেখছে বাংলা। হয়তো সব হারানো মানুষের শেষ আশ্রয়, সেই মহামান্য বিচারালয়।