দু’দিন আগে পুলিশের বিশেষ পদ থেকে তাঁকে সরিয়েছে নবান্ন। এবার কালিয়াগঞ্জের কিশোরীকে ধর্ষণ–খুনের অভিযোগের তদন্তে তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল তথা সিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। এই সিট গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সিটের মাথায় বসানো হয়েছিল আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে। কিন্তু সিটের বাকি দুই সদস্য উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্তের রিপ💮োর্টের ভিত্তিতে আজ, বৃহস্পতিবার দময়ন্তীকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই সরানো নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
আসল অভিযোগ ঠিক কী? আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেন সিট♎ের বাকি দুই সদস্য। প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ দত্ত সেই রিপোর্টে༒ দময়ন্তী সেনের বিরুদ্ধে খুল্লামখুল্লা সমালোচনা করেন। এমনকী তাঁরা আদালতে উপস্থিত হয়ে স্পষ্ট বলেন, ‘সিট কোনও কাজ করতে পারেনি। তার দু’টি কারণ আছে। এক, দময়ন্তী সেন কোনও সহযোগিতা করেননি। দুই, রাজ্য পুলিশও চরম অসহযোগিতা করেছে। এমনকী কালিয়াগঞ্জ যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে ব্যবস্থা করার কথা সেটাও হয়নি। অর্থাৎ সেই অর্থও দেওয়া হয়নি।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই 🍰অভিযোগ শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। তিনি দু’জন শীর্ষ আধিকারিকের রিপোর্ট দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। আর তারপর বিচারপতির মন্তব্য, ‘দময়ন্তী সেনের জায়গায় কাকে সিটের মাথায় বসানো যায় সেটা যেন স্বরাষ্ট্রসচিব সুপারিশ করেন।’ দু’দিন আগেই দময়ন্তীকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার–২ থেকে পুলিশ ট্রেনিংয়ের আইজি করা হয়েছে। বিচারপতির মন্তব্য শুনে বাকি দুই সদস্য উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্ত বলেন, ‘মিসেস সেন কোনও সহযোগিতা করেননি। সিটের পক্ষে এভা🌊💞বে অসহযোগিতার মধ্যে কাজ করা সম্ভব নয়। আদালত এই তদন্তভার সিবিআইকে দিক।’