২০২১ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। কিন্তু তিনি পরাজিত হন। ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধন পাণ্ডে। বর্তমানে তিনি প্রয়াত। এদিকে ওই ভোটকে চ্যালেঞ্জ করে kalyan Chaubey হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন। এদিক দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে মামলা চলে। তবে নানা কারণে এই মামলার শুনানি বার বার পিছিয়ে যায়। এরপরই মামলা যায় শীর্ষ আদালতে। সেখানে রীতিমতো ভর্ৎসনা করা হয়েছিল কল্যাণকে। আর এবার দেখা গেল সেই ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহার করে নিলেন কল্যাণ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি উঠেছিল। সেখানে কল্যাণের আইনজীবী জানিয়ে দেন ব্যক্তিগত কারণ এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, অকারণে প্রচুর সময় নষ্টের পর আদালতে পরাজয় জেনে মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে মামলা তুলে নিলেন বিজেপির কল্যাণ চৌবে। তবে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিম কোর্টে বকাঝকা খাওয়ার পরেই কি মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত? তবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত অবশ্য় এই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেননি। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৯ জুন এই মামলার ফের শুনানি হবে। সেদিন বিষয়টি ফের বিবেচনা করা হবে। ঠিক কী অভিযোগ ছিল কল্যাণ চৌবের? কল্যাণের দাবি ছিল সেই সময় তৃণমূল প্রার্থী যিনি ছিলেন তিনি ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিধানসভার ভোটারদের প্রভাবিত করেছিলেন। ভোটারদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে তিনি ভোট কিনেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন কল্যাণ। এমনকী এলাকায় জল ও বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ার ভয় দেখানো হত। সেই ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করা হত বলে নালিশ করেছিলেন কল্যাণ। তবে দিনের পর দিন ধরে সেই মামলা চলে। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল যে কল্যাণের নিজের মধ্য়েই এই মামলা নিয়ে কিছুটা অনীহা ছিল। তবে এবার সেই মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন।