কয়েক বছর আগের কথা। তখন বিঘের পর বিঘে ভেড়ি ও জলাশয় ছিল পূর্ব কলকাতার পশ্চিম চৌবাগা অঞ্চলে। তখন গুলশান কলোনির নাম কেউ জানত না। তবে সেখানের প্রায় ২৫০ বিঘে ভেড়ি–জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এখন🦋 সেখানে চলছে বেআইনি কারখানা এবং গড়ে উঠছে বহুতল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর সেসব করতে গিয়ে পুরসভার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকায় বহুতলের নীচে কারখানা আছে। তার উপরে ছোট ছোট ফ্ল্যাটে একাধিক মানুষের বসবাস। এটাই গুলশান কলোনি। যা নিয়ে এখন বড় মাথাব্যথা লালবাজারের।
এই গুলশান কখনও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য, আবার কখনও দুষ্কৃতী বাড়বাড়ন্তের জেরে সামনে এসেছে। কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন তথা কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় গুলশান আবার চর্চায় উঠে এসেছে। এই গুলশান কলোনি ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। আর সুশান্ত ঘোষই ওই এলাকার কাউন্সিলর। তাঁর উপর হা⛎মলা করার♌ ঘটনা নিয়ে সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘ওই এলাকায় সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। এখানে জনবসতি বেড়েছে। ভিন রাজ্যের মানুষজন এখানে থাকেন।’
আরও পড়ুন: চা–বাগানের শ্রমিকদের পিএফ জমা পড়েনি, কমিশনারের দুয়ারে টিগ্গা, ঘেরাও তৃণমূলের
এই ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের আবার সরকারি পরিচয়পত্রও হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের থেকেও নাগরিকরা আসছেন বলে অভিযোগ। তাই মাথা গোঁজার চাহিদা বেড়েছে। আর তা মেটাতে গিয়েই লড়াই হচ্ছে সিন্ডিকেটের। এই বিষয়ে মঙ্গলবার সুশান্ত ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ পুরসভার পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। সেটাই করি। কোনও অবৈধ কাজ হলে সেটা পুলিশ দেখবে।’ কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন🌸। দু’বছর আগে এই গুলশান কলোনিতে অভিযান চালিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্ট💮ি–টেররিস্ট স্কোয়াড। মাহফুজুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা অবৈধ পথে ভারতে ঢুকে বসবাস করছিল বলে অভিযোগ।