মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে মের ফিরহাদ হাকিমের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। কয়েকদিন আগে এই সুশান্তের ওপরই কসবায় প্রাণনাশী হামলার চেষ্টা হয়েছিল। এই সবের মাঝেই কসবার রাজনীতির প্রসঙ্গ সামনে আসছে। ধৃত গুলজার যতই বলুক, সম্পত্তি বিবাদের জেরে সে সুশান্তকে খুন করাতে চেয়েছিল, কসবা কাণ্ডে ঘুরে ফিরে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে চলে আসছে। এই আবহে জল্পনা তৈরি হয়েছে, দলেরই কোনও প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে নালিশ করতেই কি মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত? তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য দাবি করেছিলেন, তিনি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে চান। যদিও তাঁর এই বক্তব্যে পুরো উদ্দেশ্য ‘স্পষ্ট’ হয়নি। এদিকে ফিরহাদ নাকি সুশান্তকে আশ্বাস দিয়েছেন, মমতার সঙ্গে তাঁর দেখা করিয়ে দেবেন। এরই মাঝে গতকালই অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও হয় সুশান্তের। (আরও পড়ুন: বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযত থাকতে বলল 🥀HC, BJP-র দাবি - ৪ জেলায় বন্ধ নেট)
আরও পড়ুন: সুশান্তের সঙ্গে দীরꦺ্ঘ বৈঠক, কসবা কাণ༒্ডে এবার 'সক্রিয়' অভিষেক? কী কথা হল দু'জনের?
প্রসঙ্গত, সুশান্তের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গুলজার সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় গুলশন কলোনির বাসিন্দা জুলকারের নামও সামনে আসছে। এই 💯জুলকারের বিরুদ্ধে ১৫০-র বেশি অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এর আগে কোনও পদক্ষেপ করেনি তার বিরুদ্ধে। ত💯বে আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তিলজলা-তপসিয়ার এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির 'হাত' রয়েছে জুলকারের ওপর। যদিও জুলকারের নিজের দাবি, সেখানে জমি কিনে তিনি নিজেই ঠকেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি। এই আবহে কসবা কাণ্ডে স্থানীয় সমীকরণ কতটা কাজ করেছে, তা নিয়ে ক্রমেই সন্দেহ বাড়ছে। এই আবহে অভিষেকের সঙ্গে সুশান্তের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, এর আগেও কালীপুজোর সময় কসবায় দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, হালতুর নবীন সঙ্ঘ ক্লাবের কালীপুজোর প্যান্ডেলের ভাঙচুর চালিয়েছিল ১০৭ নম্𓃲বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীরা। ক্লাব সদস্য সমীরণ সাহা ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল লিপিকার গাড়ির চালকের। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, সুশান্তকে দিয়ে পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করানো൲র জেরেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। হেনস্থার শিকার হওয়া সমীরণ সুশান্ত ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হয়েছিল। এর আগে ১০ বছর এই ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর ছিলেন সুশান্ত। এই আবহে শহরের বুকে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল।