অর্থকড়ির টানাটানি রয়েছে। তাই অহেতুক অর্থ খরচ করতে রাজি নয় কলকাতা পুরসভা। সামনে এখন ছটপুজো। আর তার জন্য আলোর খরচ কমাতে চাইছে কলকাতা পুরসভা বলে খবর। ৩৫ লক্ষ টাকার মধ্যে গোটা বিষয়টি করতে চাইছে তারা। ২০২২ সালে আলো বাবদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। খরচ বাঁচাতে ঘাটপিছু ৩৫ হাজার টাকায় সম্পূর্ণ আলোর বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। আর ছটপুজোর আলে💯া চারদিনের বেশি না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া 🌄হয়েছে। তাতে পুরসভার কোষাগারে চাপ কম পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ছটপুজো দু’দিনের হলেও আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়োজন রাখতে হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (আলো) সন্দীপ রঞ্জন বক্সি জানান, ছটপুজোর দিনে আলো ঝলমলে রাখা হবে ঘাটগুলি। কিন্তু ছটপুজোর পরে অযৌক্তিক অতিরিক্ত আলো জ্বালিয়ে খরচ করবে না কলকা🃏তা পুরไসভা। ২০ নভেম্বর ছটপুজো মিটে গেলে দ্রুত অতিরিক্ত আলো খুলে ফেলা হবে। ২০২২ সালে টানা ১০দিন ঘাটগুলিতে জ্বলেছিল ছট পুজোর আলো। যার জেরে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়েছিল পুরসভাকে। এবার সে পথে হাঁটবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ ১৮টি জায়গার তালিকা তুলে দিয়েছে কলকাতা পুরসভার হাতে। সেই জায়গাগুলিতে আলোর বন্দোবস্ত করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে বাজে কদমতলা ঘাট, গোয়ালিয়র ঘাট, দইঘাট, নিমতলা ঘাট, বিচালি ঘাট, বিএনআর ঘাট, সুরিনাম ঘাট, হুগলি জুটমিল ঘাট, খিদিরপুরের সামনে আদি গঙ্গা ঘাট, তক্তা ঘাট, বাগবাজার ঘাট, বাবুঘাট, কুমারটুলি ঘাট, মায়ের ঘাট। একাধিক জলাশয়েও হবে ছটপুজো। সেখানে আলো দিয়ে সাজাবে কলকাতা পুরসভা। মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সি জানান, মেয়র অযথা খরচ কমাতে বল🥀েছেন। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঘাট অন্ধকার থাকবে না।
আরও পড়ুন: 🌳আবার টিটাগড়ে চলল পর পর গুলি, প্রাণ গেল যুবকের, শুটআউটে আতঙ্কিত মানুষ
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার দꦺুর্গাপুজোর সময় অযথা খরচে রাশ টেনেছিল কলকাতা পুরসভা। এই বছর দুর্গাপুজোয় আলো বাবদ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত বিল এসেছে কলকাতা পুরসভার। এখন শহরে হাই মাস্ট আলো রয়েছে ১০০টির মতো। ইলেকট্রিক পোস্ট আছে তিন লক্ষ। ত্রিফলা আলো রয়েছে ১৯ হাজার। প্রত্যেক মাসে আলো 𒁃বাবদ ৮ কোটি টাকা বিল আসে কলকাতা পুরসভার কাছে। তাই নতুন করে আর ত্রিফলা লাগানো হবে না বলে সূত্রের খবর। যে সমস্ত ত্রিফলা খারাপ হয়ে পড়ছে সেখানে অন্য আলো লাগিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।