গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়েছিল। তার জেরে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বউবাজার এলাকাতেও বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনা কদিন আগেই ঘটেছে। শহর ছাড়িয়ে জেলাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এবার আবার একটি হেলে পড়া বহুতলের খোঁজ মিলেছে শহরে। একেবারে উত্তর কলকাতার মুরারিপুকুরে এমন হেলে পড়া বাড়ির খোঁজ মেলায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ওই বহুতলটি পাঁচতলা। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে খবর, মানিকতলা এলাকায় আরও পাঁচটি বাড়ি এমন রয়েছে। যা প্রকাশ্যে আসায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। কারণ আবার যদি গার্ডেনরিচ🐻ের ঘটনার মতো ঘটে। তাহলে তো মানুষের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, হেলে যাওয়া ওই বাড়িটি এলাকায় অরবিন্দ ভবন নামেই পরিচিত। বহুদিন ধরে ওই একই অবস্থায় রয়েছে। সেখানে বেশকিছু মানুষও বসবাস করেন। বিষয়টি কলকাতা পুরসভার কানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরাই একটা কিছু ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সমস্যা নজরে এসেছে। আমরা ওই বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করেছি।’ ওই আবাসনে চারটি ফ্ল্যাট আছ♔ে। প্রত্যেক ফ্ল্যাটে একটি করে পরিবার থাকে। কলকাতা পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন🧸ী প্রচারে বেরিয়ে আবার পড়লেন বিক্ষোভের মুখে, অধীর শুনলেন গো–ব্যা💖ক স্লোগান
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, দু’মাস আগে এই বাড়ির সমস্যা নিয়ে কলকাতা পুরসভার অফিসারদের সঙ্গে মানিকতলা থানার পুলিশ অফিসারদের আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় উঠে আসে, যে প্লটটিতে আবাসন হয়েছে সেখানকার মাটির সমস্যার কারণে এমন হেলে যেতে পারে। তবে বারবার সতর্ক করা হলেও আবাসিকরা ফ্ল্যাট ছাড়েননি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতা প💖ুরসভা কাউকে জোর করে তাঁর বাসস্থান থেকে বের করে দিতে পারে না। তাই বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে পুলিশ পুরসভার অনুমতি পেলে বাড়ি ফাঁকা করতে সাহায্য করবে।
এছাড়া কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এমন হেলে পড়া বাড়ি যন্ত্রের সাহায্যে সোজা করার কাজ করে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থা। মুরারিপুকুরের সমস্যা নিয়েও কলকাতা পুরসভার অফিসাররা ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে দু’পক্ষের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা য💃ায়নি। তবে এই আবহে গার্ডেনরিচের রামনগর লেনে আরও একটি বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভাঙতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতꦆা পুরসভা যে নতুন অ্যাপটি চালু করেছে তার সাহায্যে এই বেআইনি নির্মাণটি আগেই চিহ্নিত করেন ১৫ নম্বর বরোর বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। তারপর শুরু হয়েছে কাজ।