কলকাতায় নানা বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠছে। আর তা নিয়ে বিরক্ত মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কারণ ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে শহরের নাগরিকরা নানা সময়ে এমন অভিযোগ তুলে থাকেন। আর যখন সে খবর পেয়ে কলকাতা পুরসভা পদক্ষেপ করতে যায় তখন বাধা পেতে হয়। বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন পুরসভার কর্মীরা। তাঁদের হে𝄹নস্থা থেকে নিগ্রহ করার অভিযোগ আছে। বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে সে অভিযোগও রয়েছে। তাই নিরাপত্তার অভাববোধ করেন পুরকর্মীরা। এবার সোমবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা কলকাতা পুরসভায় এসে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
গার্ডেনরিচ থেকে গরফা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন পুরকর্মীরা। আবার চারু মার্কেটের রাহিমুদ্দিন লেনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে পুরসভার চার ইঞ্জিনিয়ারের প্রাণ যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সেখানে তাঁদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তখন থেকে কাজ ব꧋য়কট করার ডাক দেন ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ। বেহালায় একটি বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে নিগ্রহের মুখে পড়েছিলেন পুরকর্মীরা। তাঁদের একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে তালা মেরে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এন্টালিতে পাঁচতলা আবাসনের বেআইনি উপরের তল ভাঙতে গেলে মহিলাদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুরকর্মীদের বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘নিজের বুথে যে জিততে পারে না.....’, আবার দলের নেতাদের নিয়ে মনোরঞ্জনের ক্ষোভ
কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে তো বেআইনি নির্মাণ ভাঙাই যাবে না। তাহলে শহরের বুকে থাকবে বেআইনি নির্মাণ? উঠছে প্রশ্ন। কলকাতা পুরসভার এক অফিসার জানান, বেআইনি নির্মাণগুলি ভাঙতে এবার থেকে কলকাতা পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে। তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে মেয়রের বৈঠক হয়েছে। উৎসবের মরশুম মিটলে একটা বিশেষ টিম তৈরি হবে। সেখানে কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার সদস্যরা 🐽থাকবেন। তাঁরা যৌথভাবে ভাঙতে যাবেন বেআইনি নির্মাণ। তাই এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে সঙ্গে রাখা হবে।
এদিনের বৈঠকে সমস্ত হেনস্থার বিবরণ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তুলে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলে সূত্রের খবর। আর তখনই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মনোজ ভার্মার কাছে আবেদন করেন, বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজে সাহায্য করতে। আর কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করতে। ওই পুলিশ বাহিনীতে মহিলা পুলিশকর্মী রাখার আবেদনও করেন মেয়র। এখন কলকাতার প্রায় ৫০টি বেআইনি বাড়ি 🐬ভাঙার কাজ হাতে আছে পুরসভার। উৎসব মি🧸টলে কাজ শুরু হবে।