তিনি মেঠো রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তাই কখনও টোটো চালান, আবার কখনও সাহিত্যচর্চা করেন। বাড়ির বাইরের দালানে বসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আড্ডা মারতেও দেখা যায়। সহজ–সরল সাধারণ জীবনযাত্রায় বিশ্বাসী তিনি। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে একরোখা। দলের নেতা–✃মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পিছুপা হন না তিনি। তাই তাঁর চাঁচাছোলা মন্তব্যের ভয় পান অনেকেই। তবে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগ্রাহী। এবার আবার তিনি দলের নেতার উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন। তবে নাম নেননি। হ্যাঁ, তিনি বলাগড়ের তৃণমূ🀅ল কংগ্রেস বিধায়ক তথা লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
এবার কালীপুজোর প্রাক্কালে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে যে জেলা পার্টির দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি। আবার কাজের মাধ্যমে নয় শুধু চেনা–জানার মাধ্যমে দলে ঢুকে বড় নেতা বলে দা🗹বি করছেন কেউ কেউ বলেও অভিযোগ মনোরঞ্জনের। তাহলে নিশানায় কি দলের নেতাদের একাংশ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘এখন চেনা–জানার সুবাদেই যদি বড় নেতা হয়ে থাকে, তাহলে আর কী বলার আছে। আমি জেতার পর তারা বলেছিল, আমার জায়গায় ল্যাম্পপোস্ট দাঁড় করালেও জিতে যেত। বাস্তব যে সেটা নয় লোকসভা নির্বাচনে বুঝে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: কল্যাণীতে স্বামীর সামনেই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ, গ্রেফতার ৮ অভিযুক্ত
কিন্তু কার উদ্দেশে এত ক্ষোভ? সেটা সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বরং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বক্তব্য, ‘সাধারণ মানুষ যাঁরা বলাগড়ের, তাঁদের মধ্যে আমার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। কিন্তু যাঁরা নেতৃত্ব, তাঁরা কথা বলার সময়ে প্রত্যেকেই বলে আমরা ৯৮ সাল থেকে পার্টি করি। আমি বাইরের জেলা থেকে এসে একজন বিধায়ক হয়ে গিয়েছি। এবার তাদের হুকুম আমি তামিল করছি না। আমার যেটা ভা𒈔ল মনে হয় জনসাধারণের জন্য সেটা করার জন্য চাপ দিচ্ছি। এটা তাঁদের কাছে একটা কষ্টদায়ক ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা আমাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে। ধীরে ধীরে সেই দূরত্ব একটা বৈরিতার পর্যায়েও চলে গিয়েছে বলা যায়। সুতরাং ওনারা আমাকে ডাকেন না।’
আগেও মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে নানা সময়ে ক্ষোভ–বিক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে। তাতে দল খানিকটা অস্বস্তিতেও পড়েছে। আবার নেত্রীর ফোন পেয়ে সব ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, ‘বলাগড়ে পুরনো দিনের যা নেতৃত্ব তাঁরা কী করতে পারেন, না পারেন, সেটা লোকসভার নির্বাচনে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। নিজের বুথে যে জিততে পারে না, নিজের পঞ্চায়েতে যে জিততে পারে না, সে যদি বলে আমি বিশাল বড় নেতা। যেহেতু আমরা সঙ্গে অমুক নেতার, তমুক নেতার চেনা আছে। এই চেনা–জানার সুবাদেই যদি বড় নেতা হয়ে থাকে, তাহলে আর কী বলার আছে। জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কতখানি? নেই। কিন্তু চেনা–জানার কারণে পিঠ চাপড়ানি পাচ্ছে। তারা আমাকে অসম🐟্মান করছে। ফলে আমি কেন জেনেবুঝে অসম্মান, অপমান হতে থাকব। তার চেয়ে আমি দূরে থাকি।’