হাতꦿে আর তিনদিন। তারপরই রাজ্যজুড়ে মেতে উঠবেন মানুষ কালীপুজো নিয়ে। শহর থেকে জেলায় ভিড় উপচে পড়বে কালীপুজো উপলক্ষ্যে। তবে তার আগে উদ্বোধন করার কথা ছিল কালীঘাট স্কাইওয়াকের। তেমনটাই জানানো হয়। কিন্তু আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। সুতরাং কালীপুজোর আগে কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হচ্ছে না। আজ, শনিবার ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচির পর কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি জানান, এই কাজ শেষ হয়ে উদ্বোধন হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।
কালীঘাটের স্কাইওয়াক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হোক তা নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। দুর্গাপুজোর আগে উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দিতে হয়। কালীপুজোর আগে আশা করা গিয়েছিল খুলে যাবে কালীঘাট স্কাইওয়াক। ২৮ অক্টোবর কালীঘাট স্কাইওয়াক খুলে দেওয়া হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ বেশ কিছুটা বাকি। তাই ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কালীঘাট স্কাইওয়াকের কিছুটা কাজ বাকি আছে। একজন ঠিকাদার নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ নেন। পুরসভা এবং প্রশাসনের কর্মীরা নজরদা🌸রি করে কাজটি দ্রুত শেষ করছেন। তবে কালীপুজোর আগে এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হবে না।’
আরও পড়ুন: বিচারক আদালতে পৌঁছেও ঢুকতে পারলেন না, মূল ফটকে তালা, তুলকালাম জলপাইগুড়িতে
এই স্কাইওয়াক চালু হয়ে গেলে মানুষের ব্যাপক উপকার হবে। দক্ষিণেশ্বরে আছে স্কাইওয়াক। কালীঘাটেও স্কাইওয়াক হোক চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গোটা পরিকল্পনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত। যা তৈরির জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হয়। এই স্কাইওয়াক চালু হয়ে গেলে ভক্তরা মন্দিরের মূল ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন অনায়াসে। আবার মায়ের পুজ🎃ো দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন মূল রাস্তায়। তার জন্য রাখা হচ্ছে চলমান সিঁড়ি এবং লিফ্টও।