চলতি নভেম্বরে কলকাতায় দূষণ নিয়ে উদ্বেগজনক ছবি ধরা পড়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেই বিশ্বের দূষিত শহরগুলির মধ্যে তৃতীয় নম্বরে ছিল কলকাতা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায় প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবেশবিদদের। তারওপর কালীপুজোয় দূষণ ജমারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে যায়। গত কয়েকদ♋িন ধরে শহর কলকাতায় লাগাতার দূষণ বৃদ্ধির ফলে শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছিল বহু মানুষের। তবে বৃহস্পতিবার নিম্নচাপের বৃষ্টি হতেই এক ধাক্কায় কমে গেল শহরের দূষণ। এদিন কলকাতার বাতাসের মানের সূচক তথা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করল, যা সন্তোষজনক বলেই জানাচ্ছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। যা গত নভেম্বরের থেকেও ভালো বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিধাননগরেও বাড়ছে দূষণ🀅, নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করল পুরসভা
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছꦓে, চলতি নভেম্বরে এখনও পর্যন্ত দুদিন বাতাসের মানের সূচক সন্তোষজনক ছিল। তিন দিন ছিল মাঝারি, খারাপ ছিল ৯ দিন সবচেয়ে খারাপ দুদিন। দীপাবলির পর কলকাতার বাতাসে দূষণ বাড়লেও বৃহস্পতিবার আশ্চর্যজনকভাবে তা কমে গিয়েছে। কলকাতার সমস্ত বাতাসের মান মাপক স্টেশনগুলিতেই বাতাসের গুণগত মান ছিল সন্তোষজনক। এরপরে আগামী কয়েক দিন বাতাসের গুণগত মান ভালো থাকবে বলেই অনুমান পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, দীপাবলির রাতে কলকাতার বাতাসে ২.৫ মাইক্রন ধূলিকণার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। বালিগঞ্জেও মারাত্মকভাবে দূষণ বেড়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার তা কমে বালিগঞ্জে একিউআই ৮৫ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র 🌞জানিয়েছেন, আবহাওয়া এবং বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চতা এবং বাতাসের গতি দ্রুত দূষণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রসঙ্গত, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কলকাতায় দূষণ বাড়তে থাকে। এর কারণ হিসাবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়। তারপরে ধূলিকণা বাতাসে উড়ে বেড়ায়। সাধারণত ধূলিকণা মাটির কাছাকাছি থাকলে সে ক্ষেত্রে দূষণ কম হয়। তবে এই সময়ের পর থেকে বৃষ্টি কমে যায় ধূলিকণা বাতাসে উড়ে বেড়ায়। ফলে দূষণও বেড়ে যায়। সেই ট্রেন্ডে ছেদ পড়ল প্রকৃতির কৃপায়।