বনফুলের অগ্নীশ্বরকে আরও একবার দেখতে পেল লকডাউনের কলকাতা। সংকটাপন্ন দুঃস্থ প্রসূতিকে গাড়িতে নার্সিংহোমে নিযে গেলেন চিকিৎসক কৌশিক রায় চৌধুরী। অ্যানাস্থেসিস্ট, অ্যাসিস্ট্যান্টদের খুঁজে এনে নিখরচায় অস্ত্রোপচারও ꧒করলেন। শেষে মায়ের কোলে তুলে দিলেন ফুটফুটে শিশুকে।
ঠাকুরপুকুরের কবরডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিখা মণ্ডল সন্তানܫসম্ভবা ছিলেন। নুন-আনতে-পান্তা-ফুরানোর সংসারে চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ছিল সরকারি হাসপাতাল। এম আর বাঙুর হাসপাতালে ন🃏িজের চেক আপ করাচ্ছিলেন শিখা।
৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অনুভব করেন, গর্ভস্থ সন্তানের কো🐻নও সাড়া পাচ্ছেন না। ভোর হতেই স্বামীর সঙ্গে ছুটে আসেন বাঙুরে। কিন্তু এই মুহূর্তে বাঙ্গুর করোনা সংক্রামিতদের হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই সেখানে তাঁর ঠাঁই হয়নি।
এরপর তীব্র উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে অটো নিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারে হত্যে দিতে থাকেন দম্পতি। কিন্তু লকডাউꦉনের জেরে সব দরজাই তখন বন্ধ।
শেষ পর্যন্ত বিপন্ন প্র👍সূতির সাহায্যে এগিয়ে আসেন চিকিৎসক কৌশিক রায় চৌধুরী। বাচ্চার অবস্থা সংকটজনক বুঝে শিখাকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়ে ঘুরতে থাকেন একের পর এক নার্সিংহোমে।
অবশেষে সদয় হয় শকুন্তলা পার্ক অঞ্চলের এক নার্সিংহোম। সবুজ সংকেত পেয়ে যাওয়ার যাওয়ার পথেই কৌশিক ফোন করে ডেকে নেন পরিচিত অ্যানেস্থেসিস্টকে। নার্সিংহোমে শিখাকে রেখে অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করতে বলে আবার গাড়ি🔯 নিয়ে ছোটেন সহকারীর খোঁজে।
সমস্ত ব্যবস্থা একাহাতে সেরে নিয়ে অ্যানেসথেসিস্ট ও সহকারীকে নিয়ে শিখার অস্ত্রোপচার করেন তিনি। সফল অস্ত্রোপচা🦂রের পরে শিখার হাতে তুলে দেন সদ্যো🌠জাতকে। চরম বিপদ থেকে উদ্ধার করার পরে শিখার চোখে ডাক্তারবাবু সাক্ষাৎ ঈশ্বরের দূত।
আর বেহালা পর্ণশ্রীর চিকিৎসকের কথায়, ‘নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর 🐟সামর্থ্য ওঁদের নেই। এদিকে জীবন-মরণ লড়াই। বাচ্চার অবস্থা খুবই সংকটজনক ছিল। আর বেশি দেরি হলে হয়ত বাঁচানো যেত না। তব𒐪ে দুজনেই এখন বিপন্মুক্ত। একটা ভালো কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।‘
করোনা কালবেলায় জন্। তাই ডাক্তারবাবু সদ্যো🌄জাতর নাম রেখেছেন ‘করোনাশ’। যাঁর হাত ধরে সে পৃথিবীর আলো দেখেছে, আগামী রবিবার সেই ডাক্তারব𓃲াবুর গাড়ি চড়েই বাড়ি ফিরবে নবজাতক।