আনিস খাไন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট আজ, মঙ্গলবার জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে๊। সিট আজ মুখবন্ধ খামে ৮২ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে আদালতে। এই রিপোর্ট অবশ্য খতিয়ে দেখবেন বিচারপতিরা। যেহেতু গতকাল এজলাসে বসেননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থা, তাই একদিন পিছিয়ে যায় আনিস খান মামলা। এই নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আনিস খানের বাবা।
ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে? আজ, মঙ্গলবার বিষয়টি জানতে পারেন বিচারপতি মান্থার। তারপরই মামলা থেকে অ্যাহতি নিতে চান তিনি। কিন্তু আইনজীবীরা অনুরোধ করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করেন। তখন নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন বিচারপতি। তবে আনিস খানের বাবাকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আজ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেন♔ারেল সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলের রিপোর্ট এবং পেন ড্রাইভের রিপোর্ট জমা দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে আগামী সোমবার। তার মধ্যেই আনিসের বাবা সালেম খানকে ক্ষমা চাইতে হবে।
ঠিক কী মন্তব্য করেছিলেন আনিসের বাবা? আনিস খানের মামলার শুনানি সোমবার থাকলেও এজলাসে আসেননি বিচারপতি মান্থার। তখন আনিস খানের বাবা সালেম খান মন্তব্য করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর চাপে এজলাসে বসেননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।’ এই মন্তব্য আবার বিচারপতিকে জানান আইনজীবী। এই মন্তব্যের জেরে মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে 𒊎চান বিচারপতি ম꧑ান্থা।
এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘যদি সালেম খান এমন কিছু বলে থাকেন, আমরা তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। সালেম খান একজন সাধওারণ কৃষক, তার ছেলে মারা গিয়েছেন। মানসিকভাবে ভাল নেই তিনি। তিনি আদালতের নিয়ম জানেন না। এত শিক্ষিত মানুষ তিনি নন। ভুল হলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’