ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা মামলায় নয়া মোড়। এই মামলার তদন্তকারী অফিসারদের দেওয়া চার্জশিটের কপি নেই মামলাকারীদের কাছে। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হল। আজ, বৃহস্ꦉপতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই দাবি করেন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এই কথা শু▨নে বিস্মিত হন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তখনই তিনি নির্দেশ দেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকে চার্জশিটের কপি দিয়ে দিতে হবে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাতের অন্ধকারে নিজের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান ছাত্রনেতা আনিস খান বলে অভিযোগ। সেদিন তাঁর বাড়িতে আমতা থানার পুলিশ এসেছিল বলে অভিযোগ। আর তাঁরাই তাঁকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করেছিল বলে অভিযোগ তোলেন আনিস খানের পরিবার। এই অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্🍒টে। তবে তদন্তের ভার রাজ্য পুল﷽িশের সিটকেই দেওয়া হয়েছিল।
এখন ঠিক কী অভিযোগ? এই হত্যা মামলার তদন্তের চার্জশিট ইতিমধ্যেই জমা দেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই চার্জশিটে সিটে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, খুন হননি আনিস খান। ছাদ থেকে নীচে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রনেতার। কিন্তু সিটের দাবি ঠি♏ক নয় বলেই দাবি আনিসের পরিবারের। তাঁরা এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। আজ, 🅠বৃহস্পতিবার সেই কথাই কলকাতা হাইকোর্টে উল্লেখ করে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘তদন্ত ঠিকঠাক হয়নি’। চার্জশিটে নাম রয়েছে এক এএসআই, এক হোমগার্ড ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের। চার্জিশিটে আমতা থানার তৎকালীন ওসির নামও রয়𝓡েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আনিসকে খুন করা হয়নি।