জোকা–এসপ্ল্যানেড মেট্রো প্রকল্প নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। সেই জট কেমন করে কাটবে তা নিয়েও বিস্তর চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। এবার সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেল। তাতে কলকাতা মেট্রো পথ আরও সুগম হবে। এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি মন্তব্যে। এক সাংবাদিক বৈঠকে পি উদয়কুমার রেড্ডি দাবি করেছি𝕴লেন, জোকা–এসপ্ল্যানেড রুটে এসপ্ল্যানেডে প্রস্তাবিত স্টেশন নির্মাণ করার অনুমতি দেয়নি সেনাবাহিনী। তাই জোকা–এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এবার সেটা কেটে গিয়েছে বলেই খবর।
এই অনিশ্চয়তা দেখা দেবার পর নানা দফতরে চলে চিঠি চালাচালি। সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দেয় কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাতেই জট কাটে বলে সূত্রের খবর। রেল সূত্রে খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সব দিক পর্যালোচনা করে ধর্মতলায় তিনটি মেট্রো লাইনের সংযোগস্থল তৈরি করার সবুজ সংকেত দেয়। তাতেই তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা কেটে যায়। তাই ধর্মতলার সরকারি বাসস্ট্যান্ড এবং বিধানচন্দ্র রায় মার্কেট অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে চলেছে। বিষয়টি গড়ে তুলতে সোমবার যৌথ পরিদর্শনও হয়। সেখানে রেল, মেট্🔥রো, কলকাতা পুরসভা, পরিবহণ দফতর, লালবাজার এবং আরও অন্যান্য দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তখনই বিধানচন্দ্র রায় মার্ক💙েট এবং বাসস্ট্যান্ডের নতুন ঠিকানা ঠিক হয়।
আরও পড়ুন: একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ, গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার পাঁচ, ধরপাকড়ে আলোড়ন
তবে এই ছাড়পত্র পাওয়া এবং তারপর কাজ শুরু করা খুব দেরি হয়ে গেল বলে মনে করছে রেল। এটা আরও আগে হতে পারত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেট্রো রেলের এক অফিসার বলেন, ‘রেলের কিছু অফিসারের জন্য এই প্রকল্পের কাজ দেরি হয়ে গেল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে বুঝিয়ে জনস্বার্থে মেট্রো🌃 প্রকল্প চালুর বিষয়টি উত্থাপন করতে ভুল হয়েছিল। তাই এই জট তৈরি হয়েছিল। মনে হচ্ছে এবার তা খুলে গিয়েছে। ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড রানি রাসমণি রোডে স্থানান্তরিত হবে। যেখানে এখন ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ চলছে।’