গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো। এনিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষার প্রহর গুণছেন অনেকেই। ট্রামে, বাসে, ট্রেনে, অফিসে নানা আলোচনা হচ্ছে। গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো বলে কথা! এদিকে মেট্রোতে চাপার সময় অনেক ক্ষেত্রে⭕ দেখা যায় যে টানেল দিয়ে যাওয়ার সময় ফোনের নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় না। কথার আওয়াজ ভেঙে যায়। সেক্ষেত্রে গঙ্গার তলা দিয়ে যখন মেট্রো যাবে তখন কি হবে?
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জোড়া সুরঙ্গ। গঙ্গার উপরের জলস্তর থেকে প্রায় ৩৩ মিটার নীচ দিয়ে গিয়েছে এই টানেল। নদী খাতের উপর বসানো রয়েছে এই সুরঙ্গ। প্রায় ১৩ ম𝔍িটার গভীর দিয়ে গিয়েছে এই সুরঙ্গ। সেই সুরঙ্গের মধ্য়ে ট্রেন ছুটবে হাওড়া ময়দান থেকে বিবাদি বাগ পর্যন্ত। পেটে হাজার হাজার যাত্রীকে নিয়ে রোজ পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। সেই দিনটার জন্য় দিন গুনছেন অনেকেই।
তবে এক্ষেত্রে আশার কথা জানা যাচ্ছে। নদীর তলায় বসানো হচ্ছে অপটিকাল ফাইবার। এক্ষেত্রে একেবারে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গঙ্গার নীচে দিয়ে যখন মেট্রো যাবে তখন ফোনের টাওয়ার থাকবে। এমনকী ইন্টারনেটও ব্যবহার করা যাবে। একেবারে ৫জি ইন্টারনেট ব্যবহারের মতো উপযোগী ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুরো ৫২০ মিটার সুরঙ্গ। আর মাত্র দেড় মিনিটেই পেরিয়ে যাবে এই পথ। এই পথ যখন পার হবে তখন পুরো নেটওয়ার্ক অফ হয়ে যাবে এমনটা নয়। দিব্যি আপডেট দিতে পারবেন বান্ধবীকে। ফোনের নেটওয়ার্ক পুরো চালু থাকবে। সেই রকম করেই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একেবারে অত্যাধুন𒁃িক ব্যবস্থা। কলকাতা মেট্রোকে একেবারে অন্য়ভাবে পেতে চলেছেন শহরবাসী।
এদিকে সম্প্রতি একটি রিলসকে ঘিরে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। অনেকে ভাবছিলেন গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো যাওয়ার সময় অরিজিৎ সিংয়ের গꦯান বাজবে। একটা রিলসকে ঘিরে যাবতীয় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। সেখানে অরিজিতের গলায় গান ছিল। আর সেটা দেখেই অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো গঙ্গার নীচে দিয়ে যাওয়ার সময় অরিজিতের গান বাজবে। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটা কেবলমাত্র রিলস। বাস্তবে অরিজিতের গান বাজবে তেমনটা ভাববেন না। কো🥀নও গান বা মিউজিক বাজবে না গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো যাওয়ার সময়।
তবে ফোনের নেটওয়🌸ার্ক মিলবে। এটা নিয়ে আর কোনও টেনশনের ব্যাপার নেই। বাইরের জগতের সঙ্গে আপনি পুরোপুরি যোগাযোগ করতে পারবেন।