ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই সেই নীতির পদে হাঁটল না তৃণমূল কংগ্রেস। বরং কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে ছয় বিধায়ককে টিকিট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে মালা রায়কেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে ফিরহাদ হাকিম (মেটিয়াবুরুজ), দেবাশিস কুমার (রাসবিহারী), অতীন ঘোষ (কাশীপুর-বেলগাছিয়া) এবং দেবব্রত মজুমদারকে (যাদবপুর) টিকিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রত্না চট্টোপাধ্যায় (বেহালা পূর্ব) এবং পরেশ পালও (বেলেঘাটা) পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট দাঁড়াচ্ছেন। এছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিনের পুর প্রশাসনের অভিজ্ঞতার জন্য ফিরহাদদের টিকিট দিয়েছেন মমতা। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরনিগমে ভোট হতে চলেছে। শুক্রবার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতায় তৃণমূলের ১২৬ জন প্রতিনিধি আছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৭ জনকে ফের প্রার্থী করা হয়েছে। ৮০ জন পুরনো ওয়ার্ডেই লড়বেন। সাতজনের ওয়ার্ড বদল হয়েছে। প্রার্থী তালিকায় মহিলা রয়েছেন ৬৪ জন। যা মোট প্রার্থীর ৪৫ শতাংশ। ২৩ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু'জন খ্রিস্টান। তবে প্রার্থী হচ্ছেন না শান্তনু সেন। গুঞ্জন উড়িয়ে তালিকায় নেই বাবুল সুপ্রিয়ের নামও। পার্থ জানান, মমতা, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দীর্ঘ বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রার্থী তালিকা গৃহীত হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের মতো প্রার্থী তালিকায় যে মমতার যে হাত আছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের কৌশলও ভোটে সাফল্য এনে দিয়েছিল।