ফের ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ বাংলায়। শুক্রবার বিধাননগর পুলিশ সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটু ভুয়ো কলসেন্টারের সন্ধান পায়। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে৬জন মহিলা ও ২জন♐ পুরুষ।
আসলে টাওয়ার বসানোর নাম করে এই কল সেন্টার থেকে ফোন করা হত বলে অভিয💧োগ। কিন্তু বাস্তবে গোটাটাই ছিল একটা ফাঁদ।সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল টাক🐈া তুলে নিয়ে যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করে দিত তারা।
ডিএন ব্লকে সিগনেট টাওয়ার এলাকায় বিধাননগর থানার পুলিশ অভিযানে নামে। এদিকে কারওয়াশ সেন্টার বলে তারা নিজেদের দাবি করত। কিন্তু আসলে এখান থেকে টাওয়ার বসানোর নাম করে ফোন করা হত। বাড়িতে জায়গা থাকলে বা ছাদ থাকলে সেখানে টাওয়ার বসিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করার লোভ দেখানো হত। কিন্তু বাস্তবে টাও⛄য়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা করা হত। সিকিউরিটি ডিপোজিটের নাম করে মোটা টাকা আদায় করা হত। তারপরই শুরু হত আসল খেলা।
এদিকে সম্প্রতি কল সেন্টারে হানা দিয়ে পুলিশ প্রায় ৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। নিউ টাউন এলাকায় হানা দিয়ে পুলিশ এই বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার সঙ্গে বিলাসবহুল গাড়ি, ঘড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে। এক্ষেত্রে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই বিপুল টাকা দিয়ে ঠিক কী করতে তারা? তারা কি এগুলি কোথাও বিনিয়োগ করত? নাকি 🦄ক্রিপটো কারন্সির 🔴মাধ্য়মে তারা এই টাকা অন্য় খাতে পাঠিয়ে দিত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে এই টাকা পাঠানো হত কি না সেটাও দেখা হচছে। এদিকে অতীতে দেখা গিয়েছে এই ধ💜রনের টাকা দিয়ে সাধারণত রিসর্ট ও হোটেল কিনে ফেলে তারা। এক্ষেত্রে এরকম কিছু হয়েছিল কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বিধাননগর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। তবে মূলত ফোন করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে এরা টাকা আꦡদায় করত।
দুটো কালো ব্য়াগে বোঝাই করা টাকা ওই ফ্ল্যাটে রাখা ছিল। আর ওই দুটি ফ্ল্যাটই কল সেন্টারের অপারেটররা কিনেছিল। সেখানে জমা করা হচ্ছিল বিপুল♒ টাকা। তবে এভাবে অবহেলায় নগদ টাকার পাহাড় যেভাবে ফ্ল্যাটে রাখা ছিল তা দেখে হতবাক দক🌄্ষ আধিকারিকরাও।