মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাণসী থেকে ফিরে বাংলায় গঙ্গা আরতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তারপর কলকাতা পুরসভা তাঁর ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লাগে। অবশেষে বাবুঘাট সংলগ্ন বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতির ব্যবস্ﷺথা করা হয়। আর সেখানে এখন জনতার ভিড় বেড়ে চলেছে। তাই যাতে কোনও অঘটন এখানে না ঘটে তার জন্য লালবাজার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে।
ঠিক কী ঘটছে বাজেকদমতলায়? অসংখ্য ভক্ত থেকে দর্শনার্থীর ভিড🌞় লেগেই রয়েছে বাবুঘাট সংলগ্ন বাজেকদমতলা ঘাটে। গত ৩ মার্চ এখানে গঙ্গা আরতির সূচনা করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথমে ২০০টি চেয়ার বসানো হয়েছিল। পরে ভিড়ের চাপ সামলাতে আরও ২০০টি চেয়ার কেনা হয়। কিন্তু তারপরও দাঁড়িয়ে একঘণ্টা ধরে আরতি দেখছেন অগণিত মানুষ। ভিড়ের লম্বা লাইন চলে যাচ্ছে গঙ্গা পর্যন্ত। দু’দিকের সিঁড়ির ঢালে দাঁড়িয়ে আরতি দর্শন করছেন🍨 আমজনতা। সেই ছবি দেখেই প্রমাদ গুনছে প্রশাসন।
ঠিক কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কলকাতা পুরসভার বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া✃ও𒆙 সেখানে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিয়মিত চলছে মাইকিং। নিরাপত্তা কর্মীরা গোটা ঘাটে ঘুরে সবদিক দেখছেন। কিন্তু আরতᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚি দেখার সময় নিরাপত্তার কথা, কে শোনে! একদিকে যেমন গঙ্গা রয়েছে, অন্যদিকে তেমনি রয়েছে চক্ররেল লাইন। সেই দিকেই ভিড়ের চাপে চলে যাচ্ছে জনতার লাইন। তার জেরে বাড়তি নজর দিতে হচ্ছে পুলিশকে। ভিড় সামলাতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে প্রশাসনের। এই ভিড়ের পাশাপাশি রয়েছে ছবি তোলা💃 ও ভিডিয়ো করার হিড়িক। নিত্য ইউটিউবার ও ব্লগারদের আনাগোনাও আছে।
গঙ্গা আরতি দেখে জনতার রায় কী? এখানে এসে শ্যামবাজারের বাসিন্দা পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, ‘কাশী বা হরিদ্বার যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তাই এখানে গঙ্গা আরতি শুরু হওয়ায় ভালই লাগছে।’ তিনি ছ’দিন আরতি দর্শন করেছেন বাবুঘাটে। হাওড়ার বাসিন্দা যুবতী জয়শ্রী দাস বলেন, ‘বারাণসীতে গঙ্গা আরতি দেখেছি। কলকাতায় এই সৌভাগ্য মিলবে ভাবিনি।’ ‘গঙ্গা আরতি’ দেখতে এসে অনেকেই নদীর দিকে তাকিয়ে দু’হাত কপালে ঠোকেন। তার সঙ্গে সেলফি ♊তোলার হিড়িক পুলিশ–প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দুপুরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে পুরসভা ছাড়াও লালবাজার, পরিবহণ দফতর, বন্দর, রেল এবং পর্যটন দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। আরও বেশি করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেমন করে করা যায় সেটা নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা।