সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে অস্বস্তিতে পড়🌺েছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে বার বার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। রাজ্যের মাদ্রাসাতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় নিয়োগের নিয়মের ক্ষেত্রে সংশোধন আনল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশ। এনিয়ে গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, মূল পরীক্ষা হবে ৯০ নম্বরের এবং ইন্টারভিউয়ে থাকবে ১০ নম্বর। প্রয়োজনে মূল পরীক্ষার আগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, ভবিষ্যতে মাদ্রাসা কমিশন চাইলে নেগেটিভ মার্কিং নিয়ে আসতে পারবে। মেধা তালিকা প্রকাশের পর এক বছর পর্যন্ত তা বৈধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাকাডেমিক কোয়✃ালিফিকেশনের জন্য কোনও নম্বর দেওয়ার বিষয়টি উল্🌳লেখ নেই। এছাড়া শিক্ষকদের বদলির নিয়মেও সংশোধন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে অতীতে নিয়োগে যেভাবে দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে মাদ্রাসায় নিয়োগে পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। শিক্ষক মহলের মতে এ𝔉র ফলে মাদ্রাসায় নিয়োগে দুর্নীতি অনেকটাই কমবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের বহু নেতা, মন্ত্রীকে। নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে ꦛরাজ্য সরকারকে। এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ শাসকদলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বর্তমানে জেলে রয়েছেন। এখনও এই দুর্নীতিতে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। এমন অবস্থায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা জানতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, মাদ্রাসাতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষায় পাস করার ৮–১০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পাননি বলে অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য ব্যক্তিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষকতায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়েও সম্প্রতি আন্দোলনে নামে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।