যোগ্য ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করতে কোনও বাধꦕা নেই। বাংলা থেকেই সেই কাজ শুরু করা হবে। কালিম্পং কলেজে এসে এমনই বার্তাই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর এই বক্তব্য শোনার পর থেকে সমাজের বুকে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। পড়ুয়া–উপাচার্য কনসেপ্ট নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) উপাচার্য পদে নিয়োগের মাপকাঠি নির্দিষ্ট করেছে। এবার রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) উপাচার্য করা হল অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই অধ্যাপকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত তিনিই দায়িত্বে থাকবেন।
আজ, শুক্রবার গৌতমবাবু ম্যাকাউটে গিয়ে দায়িত্বভার বুঝে নেন। কয়েকদিন আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কারণ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার এই আবহে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) উপাচার্য করা হল অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে। তাঁর নিไয়োগ নিয়ে তেমন কোনও বিতর্ক তৈরি হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে🐠 একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
ঠিক কী নিয়ে ধোঁয়াশা? এদিকে ♐এই নিয়োগ নিয়ে ম্যাকাউটে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ এদিন দফতরে এসেছিলেন আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়। তাঁকে অপসারণের কোনও চিঠি দেওয়া হয়েছে 🐼কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যে আর একজনকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হল। তবে নির্দেশিকায় রাজ্যপালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২৬ এপ্রিলের নির্দেশকে ‘সাপ্রেশন’ করে গৌতমবাবুকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হল। এই ‘সাপ্রেশন’ শব্দটি কোন অর্থে লেখা হয়েছে সেটা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভবানীভবনে হাজির চাকদার বিজেপি বিধায়ক, কল্যাণী এইমস ন🔯িয়োগ দুর্নীতিতে জেরা
আর কী জানা যাচ্ছে? সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত তৈরি হয়েছে। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। অস্থায়ী উপাচার্য, রাজ্যপাল নিয়োগ করলে তাঁদের বেতন–সহ অন্যান্য সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তখন মামলা হলে কলকাতা হাইকোর্ট এই নিয়োগকে বৈধ বলে সিলমোহর দেয়। আর বেতন–স𒁃হ সব সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর থেকে রাজ্যপাল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আর কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না। এই আবহে আবার উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। মনে করা হচ্ছে, ইন্দ্রনীলবাবুর ১০ বছর অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা না থাকা অথবা তিনি অধ্যাপকের বদলে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হয়েও উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, রাজ্যপালের অর্ডারে ‘সাপ্রেশন’ কথাটি লেখা হয়েছে তার প্রেক্ষিতেই।