সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা নির্দেশিকা জারি করে শহরের পার্কিং ফি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তার হার বেশি বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কয়েকজন শহরবাসী। এবার এই বিষ𓂃য়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভাকে আজ, শুক্রবারের মধ্যে পার্কিং ফি সংক্রান্ত আগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।
এদিকে পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছে বলে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভ্যান্স সেলে। আর কলকাতায় পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্🙈তে মানুষের কষ্টের কথা শুনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ওই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, এই সিদ্ধান্ত দিদির পছন্দ নয়। ব্যস, বোঝা কমতে চলেছে শহরবাসীর উপর।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? শহরের মানুষের উপর কোনও কর চাপানো হো▨ক 🍌তা চান না মুখ্যমন্ত্রী। জলের উপর তিনি কোনও কর বসাতে দেননি। যেখানে অন্যান্য রাজ্যে কর দিতে হয়। এই পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনওই সাধারণের উপর বাড়তি বোঝা চাপানোর পক্ষপাতী নন। ওঁর রাজনৈতিক দর্শনই হল সাধারণ মানুষকে আর্থিক সুরাহা দেওয়া। কলকাতা পুরꦆসভা পার্কিং ফি বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মোটেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে হয়নি। পার্কিংয়ের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাঁরা পার্কিং করেন তাঁদের অনেক টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। বিষয়টা আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আজকের মধ্যে প্রত্যাহার♔ করতে হবে। কলকাতার মহানাগরিকের কাছে বার্তা পৌঁছে গিয়েছে।’ সুতরাং কুণালের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।