কালীঘাটে স্কাইওয়াক গড়ে তুলে মানুষের উপকার করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর এলাকায় কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্পন্ন হতে বিলম্ব হচ্ছে। যা দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই ক্ষোভ এবার শোনা গেল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বুধবার খিদিরপুরে ১৬ আনা মসজিদের গেট উদ্বোধন এবং ইফতারে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই 🌃তিনি নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়রকে কড়া নির্দেশ দিলেন। যা নিয়ে এখন জোর আলোচনা শুরু হয়ে༺ গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এই স্কাইওয়াক হলে একদিকে দক্ষিণ কলকাতার যানজট অনেকটা কমে যাবে। অন্যদিকে দক্ষিণেশ্বরের মতো কালীঘাট মন্দিরের সামনে সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। আর সেটাই দেরি হওয়ায় কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণে🌜র বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে সরিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে বাকি কাজ করানোর নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক 🦋গড়ে তুলেছি। জল্পেশ মন্দির, কঙ্কালীতলা, তারাপীঠ, বক্রেশ্বরের কাজ করে দিয়েছি। সেখানে কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে কেন?’ এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তারপর ঠিক কী ঘটল? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশা করেছিলেন চলতি বছরের শুরুতেই শেষ হবে কালীঘাটের স্কাইওয়াক। কিন্তু সেটা হয়নি🦂। আবার এই স্কাইওয়াকের কাজ চলায় মন্দির সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে হাঁটা যাচ্ছে না। আর সেটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। নিজের এলাকা নিয়েই এমন নালিশ মেলায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা বুঝতে পেরে মুജখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আজই আমি বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা সঙ্গে বৈঠক করেছি।’ তখনই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘কিন্তু শুধু বৈঠক করে হবে না। ওদের সরিয়ে দিতে হবে। দরকার হলে পূর্ত দফতরকে দিয়ে বাকি কাজ করিয়ে এটা শেষ করতে হবে।’
আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে? এই মঞ্চ থেকেই দুটো অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে। সেই অনুরোধ দুটিতেও রয়েছে মাস্টারস্ট্রোক। মেয়রকে তিনি বলেন, ‘ববির কাছে আমার দুট🐬ো অনুরোধ আছে। এক, সন্ত রবি দাসের নামে একটি লঙ্গরখানা। আর দুই, একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করতে হবে।’ আর মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট নতুন করে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ১৬ আনা মসজিদের তোরণের প্🧜রশংসা করেছেন। এখন দেখার মেয়র বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পূর্ত দফতরকে দেন কিনা।