বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হয়েছে দাবি করে আজ সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, শনিবার বিজেপির কোলাঘাটে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে হিংসার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আজ একটি অডিয়ো বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি নস্যাৎ করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্𒐪যোপাধ্যায়। এমনকী প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন তিনি। দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আনার সমস্ত অভিযোগের জবাব কড়ায়গণ্ডায় ফিরিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ, কোলাঘাটে বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় উপর্যুপরি হিংসার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। সেখানে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রಌী বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের পরও তৃণমূল প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রক্ত নিয়ে হোলি খেলা শুরু করেছে। যারা নিজেরা ভোট লুঠের অভিযোগ করত, যারা নিজেদের গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করত, সেই তৃণমূলের লোকেদেরই টিভির পর্দায় ব্যালট বাক্স নিয়ে পালাতে দেখাগিয়েছে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গুন্ডাদের বরাত দেওয়া হয়েছিল বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে। লোকসভা নির্বাচনে সেটা হবে না।’
ঠিক কী বলেছেন মু🌸খ্যমন্ত্রী? এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়েনি প্রধানমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অডিয়ো বার্তায় সুর চড়িয়ে বলেন, ‘কোনও প্রমাণ ছাড়াই কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। উনি চান, দেশবাসী কষ্টে ভুগুক, মারা যাক, শুধুমাত্র বিজেপির সমৃদ্ধি হোক। বিজেপি এই চিন্তাধারা 🌳দিয়ে সাধারণ মানুষকে বারবার বোকা বানাতে পারবে না। আপনি কিছু সময় মানুষকে বোকা বানাতে পারেন, সারাজীবন নয়। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন, চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।’ সুতরাং বাংলার মাটিতে আবার যুযুধান দুই প্রতিপক্ষের তরজায় তপ্ত হয়ে উঠল রাজনীতির বাতাবরণ।
আরও পড়ুন: ‘হুজুর দয়া করে আমাদের দেশকে বাঁচান’, বিচারব্য🐻বস্থার উদ্দেশে টুইট করলেন মমতা
আর কী কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, শনিবার রাফেল চুক্তি থেকে শুরু করে নোট বাতিল. মণিপুরের চলমান জাতি দাঙ্গায় মহিলাদের ধর্ষণের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ, ‘প্রধানমন্ত্রী মুখে দেশবাসীর স্বার্থরক্ষার কথা বলেন। আর কাজে সেটাই করেন যাতে বিজেপির স্বার্থ রক্ষিত হয়। দেশের মানুষ খেতে পেল কি না, তাতে বিজেপির কিছু আসে যায় না। বিজেপি দেশের স্বার্থে কোনও কাজ করে না। শুধু রাজনৈতিক হাওয়া তুলতে জানে। অন্যকে জ্ঞান না দিয়ে নিজেদের আচর🦂ণ ঠিক করুন। আপনার চারপাশে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের বিরুদ্ধে তো কোনও ব্যবস্থা ন🦂েননি। দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতন, শ্লীলতাহানি সবেতেই এরা জড়িত। বিজেপির জমানায় সারা দেশের মানুষ দুর্ভোগে আছেন। তাঁদের রক্ষা করতে টিম ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছে। তাতেই বিভ্রান্ত হয়ে নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে মিথ্যে অভিযোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী। আবাস থেকে শুরু করে রাফাল, ভুলে যাবেন না। আপনাদের কর্মীরা বাংলাতে ১৬–১৭ জনকে খুন করেছে। আর আপনি হাওয়া দিচ্ছেন!’