নামখানা গণধর্ষণ মামলায় রাজ্যেꦫর দেওয়া হলফনামা রিপোর্টে খুশি নন মামলাকারী। আদালতকে এই কথাই জানানো হয়েছে। মামলাকারীর তরফে বক্তব্য, রিপোর্টে অনেক তথ্যের কোনও উল্লেখ নেই। তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। মামলাকারীর যাবতীয় অভিযোগ এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার দময়ন্তী সেনকে খতౠিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ২০ জুন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের তরফে এই মামলায় যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়, সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, নির্যাতিতার জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করা হলেও বেশ কিছু জিনিস তদন্তকারীরা নেননি। তাতে শাঁখা, পলা রয়েছে। তাতে রক্তের নমুনা থাকলেও তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। একইসঙ্গে মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, নির্যাতিতার শরীরে পোড়ার দাগ ছিল। কিন্তু সেই কথা উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যের তরফে অবশ্য আদালতকে জানানো হ💯য়েছে, এই ঘটনার তদন্ত আইপিএ🅠স অফিসার দময়ন্তী সেন করছেন। রাজ্যের তরফে যꦯে অতিরিক্ত হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তাতে অনেক কিছুই উল্লেখ আছে। যদিও রাজ্♔যের পেশ করা রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেননি মামলাকারী।
উল্লেখ্য, নামখানা-সহ মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলার তদন্তভার আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতেই গিয়ে💛ছে। এর আগে ২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলার তদন্তভার তাঁর ওপরই ছিল। সেইসময় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার সামলেছিলেন তিনি। গত ৪ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে বাড়ির ভিতর ঢুকে গণধর্ষণ করা হয়। মহিলার ওপর অ্যাসিড হামলারও চেষ্টা করা হয়। দুষ্কৃতীরা ঘরের ভিতরেই লুকিয়ে ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। রাতে ওই মহিলা বাথরুমে যেতে নিলে দুষ্কৃতীরা ওই মহিলার ওপর চড়াও হয়।