মণিপুরে অশান্তিতে বাঙলার অনেকে আটকে পড়েছেন। এই পরিস্থিতে তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা꧒য় মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, সে রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আটকে পড়া বাংলা বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
শনিবার তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ' মণিপুর থেকে আমরা যে ধর🥃নের খবর পাচ্ছি তাতে গভীরভাবে ব্যথিত। আমি মণিপুরের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত অন্যরা এখন সেখানে আটকা পড়েছে। বাংলার সরকার রাজ্যের জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মণিপুর সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে সেখানে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যসচিবকে পুরো প্রক্রিয়াটি প♐র্যবেক্ষণ করতে, দুর্দশা ও হতাশাগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সব সময় জনগণের পাশে আছি। সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।'
মণিপুরে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের জন্য হেল্পলাইন চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই হেল্পলাইন নম্বরগুলি হল, 033-22143526 ও 033-22535185।
(পড়তে পারেন। প্রকাশ্যಞে এল মণিপুরের হিংসায় মৃতের সংখ্যা, শান্তি বজায় রাখতে মোতায়েন আরও জওয়ান)
বেশ কয়েকদিন ধরেই জাতিগত হিংসার অশান্ত মণিপুর। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও🔯 বিক্ষিপ্তভাবে হিংসার ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে আরও বেশি সংখ্যক সেনা জওয়ান পাঠিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসের প্রায় ১০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে বলে সূত্রের খবর। শনিবারই হিংসায় মৃতের সংখ্যা সরকারি ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। হিংসায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জনেরꦫ মৃত্যু হয়েছে চূড়াচাঁদপুর জেলায় ও পূর্ব ইম্ফল জেলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম ইম্ফলে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকেই অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছꦗে।