মেয়ে কিছু করে নাকি? আজকাল পাত্রী দেখতে গিয়ে অনেকেই এনিয়ে খোঁজখবর করেন। আর মেয়ে যদি চাকরি বাকরি করে তবে তো একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাত্র পক্ষের লোকজন।&nbs🅠p;
তবে শম্পা ধাড়ার বিষয়টি 🅘ছিল কিছুটা অন্য়রকম। পূর্ব বর্ধমানের রায়না বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। সেটাও আবার শাসকদলের। তিনি আবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতিও ছিলেন। ক্ඣষমতার একেবারে শীর্ষে রয়েছেন পাত্রী।
সেই পাত্রীকে ঘরের বউ করার জন্য একেবারে হামলে পড়েছিলেন পাত্রপক্ষের লোকজন। কিন্তু এমনটা চাননি শম্পা। ঘাসফুল অন্ত প্রাণ বিধায়ক। তবে একেবারে সাধারণ বাড়ি থেকে উঠে এসেছেন তিনি। তিনি চেয়েছিলেন সাদামাটা একজন পাত্রকে। তবে ꦑযেন শিক্ষিত হন 🗹তিনি। আসলে পরিবার আর রাজনীতিকে কখনওই গুলিয়ে ফেলেননি তিনি। আর শেষ পর্যন্ত মনের মতো পাত্র পেয়েছেন শম্পা ধাড়া।
অঙ্কের শিক্ষক গজানন রায়কেই মন🌜ের মানুষ হিসাবে বেছে নিলেন শম্পা। ক্ষমতার অলিন্দে থাকা শম্পা মন দিলেন সাদামাটা প্রাথমিক শিক্ষককে। কিন্তু এই যে বিয়ে তার পেছনে রয়েছে এক মজার গল্প। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বরাবরই পরিচয় লুকিয়ে তিনি পাত্র দেখতেন। তবে এমন ঘটনাও হয়েছে পাত্র পক্ষ হয়তো প্রথমে পরিচয় না জানার জেরে মেয়েকে পছন্দ হয়নি। হয়তো কালো বলে মনে ধরেনি পাত্র পক্ষের। কিন্তু মেয়ে এমএলএ এটা জানার পরে একেবারে হাতে পায়ে পরার অবস্থা। এমন পাত্রীকে কি হাতছাড়া করা যায়!
কিন্তু এভাবে কেন পরিচয় গোপন করতেন শমಌ্পা ধাড়া?&ജnbsp;
ওই সংবাদমাধ্যমকে বিধায়ক জানিয়েছ💙েন, বিধায়ক জেনে অনেকেই বিয়ে করতে চাইবেন। কিন্তু আমি একদম সাধারণ মেয়ে। গরিব ঘরের মেয়ে। খড় কেটে, গরু চড়িয়ে, ধ🌟ান রুয়ে বড় হয়েছি। সেরকই জীবন চেয়েছি আমি। সংসার চেয়েছি। দাম্পত্যে আবার এমএলকে কী!
আস♛লে এই শেষ লাইনটাই জীবনে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে চান শম্পা। নতুন শাড়ি, হালকা গয়না, হাতের মেহেন্দি নতুন বউ শম্পা ধাড়া বিধানসভাতেও এসেছিলেন। সব কিছুর মধ্যেও মন পড়ে রয়েছে বাড়ির জন্য।&n🅠bsp;
তবে বিয়ের অনুষ্ঠান✃ও সাদামাটাভܫাবেই করেছেন তিনি। নেতা মন্ত্রীরা এসেছিলেন বিয়েবাড়িতে। তবুও ২৭ নভেম্বর শম্পার বিয়ে ছিল বেশ সাধারণই। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সম্প্রদান করলেন।