অবশেষে কেন্দ্রে নির্দেশ মতো রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির টাকা উদ্ধারের কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ১২টি জেলা থেকে উদ্ধার করতে হবে প্রায় ২.৫ কোটি টাকা। ত🌸ার মধ্যে বীরভূম জেলা থেকেই উদ্ধার করতে হবে ১ কোটি ১৫ লক্ষের বেশি টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টাকা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আসল অংক এর বহুগুণ। এমনই জানানো হয়েছে 𓃲সিপিআইএমের মুখপত্র গণশক্তিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১০০ দিনের দুর্নীতির টাকা উদ্ধ🃏ার করতে হবে রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। দুর্নীতির টাকা উদ্ধার না করলে এই প্রকল্পে নতুন করে টাকা পাওয়া যাবে না স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। গত ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তার পর কয়েক মাস কেন্দ্রকে তেড়ে তেড়ে গালমন্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। উলটে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা রাজ্যে⭕ এসে চিহ্নিত করে দিয়েছেন, ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির দ্বার খুলে দিয়েছে রাজ্য সরকারই। এমনকী যারা সোশ্যাল অডিট করেন ঠিক মতো বেতন দেয় না রাজ্য সরকার। এদের সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে শাসকদল।
এর আগে আমফান দুর্নীতিতে চুরির টাকা উদ💮্ধারে নেমেছিল রাজ্য সরকার। জনরোষের মুখে ফর্ম ছাপিয়ে দলের নেতাকর্মীদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তার পরিণতি মোটামুটি সবারই জানা। এবার কেন্দ্রে✅র গুঁতোয় দুর্নীতির টাকা উদ্ধারে নেমেছে রাজ্য। ২.৪৯ কোটির মধ্যে এতদিনে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৩২ লক্ষ টাকা।
‘কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী ঐক্য অসম্ভব’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে বার্তা জয়রামের
রাজ্যের নবনিযুক্ত পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘আমাদের কাছে কেন্দ্রের তরফে যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল তা দিয়েছি। সব প্রশ্নের জবাবও দ💧িয়েছি। তার পরেও কেন ১০০ দিনের কাজে টাকা পাঠচ্ছে না, জানি না।’
ওদিকে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের চাপ ততই বাড়ছে রাজ্য সরকারের ওপর। শিল্প বন্ধ্যা এই রাজ্যে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ১০০ দিনের কাজের ওপর নির্ভরশীল। এখন দেখার, কতদিনে এই চুরির টাকা উদ্ধ𒅌ার করতে পারে রাজ্য💟 সরকার।