বিধানসভায় মধ্যমণি মুকুল রায় এবার একটু বাঁ–দিক চেপে সরে এলেন। মধ্যমণিই রইলেন। তবে এবার আরও একটু শুভেন্দু অধিকারীর কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন। আসলে বিধানসভায় আসন বদল হল মুকুল রায়ের। আর আজ বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর ঠিক পাশের বেঞ্চেই বসেছেন মুকুল রায়। তাতে চরম অস্বস্তি শুভেন্দুর হলেও মুচকি হেসেছেন মুকুল। গত শুক্রবার মুকুল রায় অন্য আসনে বসেছিলেন। আজ সেই আসনে বসলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। সুতরাং একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়লেন বিরোধী দলনেতা।ঠিক কী ঘটেছে? বিধানসভা সূত্রে খবর, গত শুক্রবার বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের মাঝে একটা বেঞ্চ ছিল। কিন্তু আজ সেই বাধা টপকে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় আরও কাছাকাছি এসেছেন। এই নিয়ে টিপ্পনি কেটেছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘এটা দেখে একটা গানের লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। সেটা হল—আরও কাছাকাছি আরও কাছে এসো।’ অর্থাৎ তিনি চান মুকুল রায় আবার বিজেপিতে ফিরে আসুন। না হলে শুভেন্দু চলে যান তৃমমূল কংগ্রেসে। যদিও বিষয়টি যে খুব জটিল তা মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে আজকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় আসেননি। মুকুল রায় এসেছিলেন। আর আসন দেখেই এই টিপ্পনি করলেন তিনি।আজ মুকুল রায়ের বাঁ–দিকে বসতে দেখা যায় গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে। এই বিশ্বনাথ কারক মুকুল অনুগামী বলেই পরিচিত। এখনও খাতায় কলমে মুকুল রায় যেহেতু বিজেপি বিধায়ক। তাই তাঁকে কোন আসনে বসানো হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।উল্লেখ্য, নির্বাচন পরবর্তী বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুলের হাত ধরেই শুরু হয়েছে আবার ‘ঘর ওয়াপসি’। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে মুকুল রায়ের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। মকুলের রাজনৈতিক জীবনের পরবর্তী অধ্যায় আরও জ্বলজ্বল করছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সেটা ঠিক কী তা এখনও স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি।