হাড়হিম করা খুনের ঘটনার চার্জশিট এবার আদালতে পেশ করল পুলিশ। যার নেপথ্যে রয়েছে তন্ত্র সাধনার যোগ। দুর্গা সরখেল খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে💞 একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা চার্জশিটে আদালতের কাছে পেশ করেছে পুলিশ। এখান থেকেই জানা যাচ্ছে এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা করেই করা হয়েছিল। দুর্গা সরখেল (৩৮) খুনের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তবে ৮৩ দিনের মাথায় ২৪৯ পাতার চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। যার পরতে পরতে উঠে এসেছে নৃশংসতা। এই ঘটনায় ৪৩ জন সাক্ষী আছেন। আর তদন্তকারী কর্তা ম🥃হম্মদ নুরেইন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সাক্ষী আছেন বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪৯ পাতার চার্জশিটে এই হত্যাকাণ্ডের কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্তারা। তার মধ্যে একটি বিষয় হল, দুর্গা সরখেলের স্বামী ধরণীধর সরখেল রেলে চাকরি করতেন। আর তাঁর আয়ের অনেকটা অংশ খরচ করতেন শ্বশুর বাড়িতে। আর এই বিষয়টা জানতে পেরে কোনও মতেই মেনে নিতে পারেননি মহিলার ভাসুর শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল। তখ🐭ন থ🐠েকেই শুরু হয় পরিকল্পনা। এরপর ছোট ভাই ধরণীধর সরখেল একজন অবাঙালি যুবতীকে বিয়ে করেন। সেটাও মেনে নিতে পারেনি শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল। তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় মনের মধ্যে। এতকিছুর প্রতিশোধ কেমন করে নেবেন তা ভাবতে থাকেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের🎶 প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, অভিযুক্ত শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল ভাল সংস্থায় চাকরি করত। কিন্তু সেখান থেকে তার চাকরি চলে যায়। তার পর থেকেই সে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে। আর একেবারে চুপচাপ হয়ে যায়। এই অভিযুক্ত শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখ൲েল আদতে একজন পণ্ডিত ব্যকꦍ্তি। কিন্তু অর্থের অভাবে মানসিক অবসাদের দিকে চলে যায় এই শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল। তবে শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেল তন্ত্র সাধনা করত। তান্ত্রিক হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছিল। তবে শুদ্ধ নীলাঞ্জন সরখেলকে কেউ বলেছিল, তোমার সব থেকে রাগ যার উপর তাঁকে বলি দাও। তাহলেই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুলে যাবে।