পুলিশকে তদন্তে বিভ্রান্ত করতে এগিয়ে এসেছিল খুনি নিজেই। ঠাকুরপুকুরে পৌঢ়া খুনে তদন্তে নেমে এমনই📖 চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। তবে অভিযুক্তের এই কীর্তিকলাপ দেখে হতবাক পুলিশ কর্তারাই।
কালীপুজোর পরদিন শুক্রবার স🌄কালে ঠাকুরপুকুরে সখেরবাজারের কাছে সন্তোষ রায় রোডের ফুটপাতের একটি গর্ত থেকে উদ্ধার হয় এক প্রৌঢ়ার দেহ। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলাকে গলা টিপে খুন করা হয়েছিল। যেখ🎃ান থেকে এই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তার খুব কাছেই রয়েছে মাংসের দোকান। সেই দোকানেই কর্মচারী হিসাবে কাজ করছিল খইরুল মণ্ডল ওরফে রাজু। জানা যায়, পুলিশ যখন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তখন তাঁদের সাহায্য করার নাম করে এগিয়ে এসেছিল এই খইরুলই। ঘটনাস্থল থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেই সিজার লিস্টে সই করেছিলেন খইরুলই।
ময়নাতদন্তে খুন ধরা পড়ার পর রাতে ওই অঞ্চলে যারা ছিলেন, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। খুনের দিন রাতে ওই এলাকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে জেরা করে পুলিশ। একইসঙ্গে খইরুলকেও জেরা করা হয়। খুনের দিন রাতে সে কী করছিল, সেই প্রশ্নের কোনও সঙ্গত উত্তর দিতে পারেনি খইরুল। তার দেওয়া বয়ানের সঙ্গে অন্যদের বয়ানও মিলছিল না। এরপর টানা জেরার পর খইরুল স্বীকার করে নেয়, ওই মহিলাকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করেছিল সে। মহিলা বাধা দেওয়ায় নির্মীয়মান বাড়ির একতলায় শ্বাসরোধ করে খুন করা তাঁক𒉰ে। জানা গিয়েছিল, ওই মহিলা হরিদেবপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে সে ঠাকুরপুকুরে চলে এসেছিল।