পূর্ব কলকাতার পশ্চিম চৌবাগা অঞ্চলে গুলশান কলোনি। যা ☂এখন রাজ্য–রাজনীতির সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। কসবায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে হত্যা করার চেষ্টার পর থেকেই এই জায়গাটি সংবাদ শিরোনামে এসেছে। এখানে জমি বিতর্কে উঠে এসেছে গুলশান কলোনির নাম। এবার এই গুলশান কলোনির বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা 𝐆বন্দ্য়োপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে নবান্নে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নবান্নে ডেকে কথা এই বিষয়ে কথা বলেন বলে সূত্রের খবর। কসবা কাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে বলেও জানা গিয়েছে।
এই গুলশান কলোনিতে প্র😼ায় ২৫০ বিঘে ভেড়ি–জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এখন সেখানে চলছে বেআইনি কারখানা এবং গড়ে উঠছে বহুতল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর এই জমি নিয়ে বিবাদের নানা তথ্য সামনে চলে এসেছে। বেআইনি নির্মাণের জেরে জর্জরিত গুলশান কলোনি। এখানেই মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের পক্ষ থেকে জমি জরিপের কাজ। আর ওখানকার সমস্ত তথ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কসবার জমি বিত⭕র্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: টানা দু’দিন বন্ধ থাকবে জল সরবরাহ, শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় কেন হঠাৎ এমন অবস্থা?
পুরসভার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনি নির্মাণের কাজ হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। ওই এলাকায় বহুতলের নীচে কারখানা আছে। তার উপরে ছোট ছোট ফ্ল্যাটে একাধিক মানুষের বসবাস। এটাই গুলশান কলোনি। কসবা এলাকায় সুপারি কিলার দিয়ে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খতম করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কারণ এই বেআইনি কাজ তিনি আটকে দিয়েছিলেন। কসবার খালি জমি ক্রমে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষ প্রথম থেকেই বড়মাথার হাত র𒀰য়েছে ব♐লে দাবি করে আসছিলেন। তারপরই গুলশান কলোনির বেআইনি নির্মাণ এবং জমি দখলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ছক করা হয়।
এই ঘটনার জেরে আফরোজ ওরফে গুলজার খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহম্মদ জুলকার আলি নামে ব্যবসায়ী তিন বছর আগে গুলশান কলোনিতে ১২০ বিঘার একটি জলাশয়ের একাংশ নিজের জমি দাবি করে আবর্জনা ফেলে ভরাট করে বলে অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন তথা কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় গুলশান আবার চর্চায় উঠে এসেছে। এই গুলশান কলোনি ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। আর সুশান্ত ঘোষই ওই এলাকার কাউন্সিলর। তাঁর উপর হামলা করার ঘটনা নিয়ে সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘ওই এলাকায় সরকারি জমি দখল হꦉয়ে যাচ্ছে। এখানে জনবসতি বেড়েছে। ভিন রাজ্যের মানুষজন এখানে থাকেন।’