চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ১.২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ২০১৪ সালে ল্যাপারোস্কোপিক ডাই টেস্ট চলাকালীন মৃত্যু হয়েছিল অরুণিমা সেন নামে ওই চিকিৎসকের। সেই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের বিরুদ্ধে। প্রথমে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত, পরে রাজ্য এবং সর্বশেষে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেনꦅ অরুণিমার স্বামী। শুক্রবার সেই মামলায় এই পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
জানা গিয়েছে, অরুণিমা কলকাতার একটি বেসরক🐈ারি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে অরুণিমা জরায়ুতে টিউমার সহ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান রোগে ভুগছিলেন। তিনি প্রথমে ২০১২ সালে চিকিꦬৎসার ওই মেডিক্যাল সেন্টারের যান। প্রথমের দিকে তিনি এই পরীক্ষা করাতে অনিচ্ছুক ছিলেন। পরে তিনি ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী এই পরীক্ষা করতে রাজি হন। আর পরীক্ষা চলাকালীন ঘটে বিপত্তি। সেই সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তরফে কমিশনকে জানানো হয়, পরীক্ষা চলাকালীন তাঁর অবস্থা আশঙ্কজনক হলে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁকে আইসিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে বাঁচানোর জন্য সবরকমের চেষ্টা করা হয়েছিল। ফলে হাসপাতালের তরফে কোনওভাবেই গাফিলতি করা হয় বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
অরুণিমার স্বামী সোমরাজ সেন চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি করার পাশাপাশি ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় উপভোক্তা আদালতের নির্দেশে অসন্তুষ্ট। মৃত্যুর জন্য কোনও ডাক্তারকেই শাস্তি দেওয়া হয়নি। ডাক্তারদের অব্যাহতি দেওয়া হলে শুধুমাত্র হাসপাতালই কীভাবে দায়ী হতে পারে!’ তাঁর অভিযোগ, অরুণিমার মৃত্যুর পরে মিথ্যাভাবে তাঁর চিকিৎসা চালꦛিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জাতীয় উপভোক্তা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোঠারি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছেন।