সরকারের তরফে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তবে সেই সমস্ত অভিযোগ যাতে কমে সেকারণে এবার কলকাতা পুর নিগম বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড রয়েছে অথচ রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন নানা অভিযোগ সামনে আসে। তবে এবার কলকাতা পুরনিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও বেসরকারি হাসপাতাল যদি নতুন ব্লক তৈরি করে তবে তার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে নার্সিং হোমের সম্প্রসারণ করলে সেখানে স্বাস্থ্য সাথীর জন্য় ব্লক রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে বেড নেই এই অজুহাত আর দেওয়া যাবে না। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদের বৈঠকে এনিয়ে অনুমোদন মিলেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার অধিবেশন আছে। সেখানে এনিয়ে পাশ করানো হবে। মূলত যে সমস্ত নার্সিংহোম নতুন করে বিল্ডিং সম্প্রসারণের কথা ভাবছে তাদের জন্য এবার বিশেষ শর্ত আরোপ করা হল। সেই অনুসারেই তাদের কাজ করতে হবে। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার কমানোর জন্য়ও বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। মোটের উপর যাতে স্বাস্থ্য় সাথীর রোগীদের না ফেরানো হয় সেকারণেই এই বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। কারণ বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড থাকার জেরে অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। কিন্তু সেখানে বলা হয় বেড নেই রোগী রাখা যাবে না। এরপর এক হাসপাতাল থেকে অপর হাসপাতালে ছুটে বেড়াতে হয়। সেই সঙ্গেই বলা হচ্ছে কোনও জটিল হার্টের অপারেশন বা ওপেন হার্ট সার্জারি এক লাখের বেশি বিল করা যাবে না।সেই সঙ্গেই ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য়ও বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্তত ১০জন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা প্রতি মাসে বিনা পয়সায় করতে হবে। ১১তম রোগীর ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ রোগী দেবে ও বাকি ৬০ শতাংশ হাসপাতালকে দিতে হবে বলে বলা হয়েছে।