দিনের ব্যস্ত সময়ে শহরের দুটি উড়ালপুল মা এবং এজেসি বসু রোডে মোটরবাইক চলাচল বন্ধ হতে পারে বলে খবর। তবে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশের কোনও যোগ নেই। লালবাজার সূত্রে খবর, নতুন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র সব ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি এবং এসিদের নিয়ে বৈঠকে করেছেন। সেখানেই ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দিনের ব্যস্ত সময়েও ওই দুই উড়ালপুলে মোটরবাইক চলাচল বন্ধ করার বিষয়ে।এই দুই উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার সুতোয় গলা কেটেছে চালকের, আবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের নীচে পড়েছেন মোটরবাইক চালক। তার জেরে মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মা এবং এজেসি বসু রোড উড়ালপুলে মোটরবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাই দিনের ব্যস্ত সময়ে উড়ালপুল দুটি বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তবে রাজ্য সরকারের সম্মতি আদায় করতে এই প্রস্তাব লিখিত আকারে নবান্নে পাঠাবে লালবাজার।পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলে এই যানকে উঠতে দেওয়া হয় না। কিন্তু মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জা থেকে দুর্ঘটনা কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুলিশের। তাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই শহরের ট্র্যাফিক আধিকারিকদের সঙ্গে সৌমেন মিত্র প্রথম বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে শহরের রাস্তায় সাইকেলের জন্য পৃথক লেন তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বড়বাজার, পোস্তার মতো এলাকায় ভ্যান–রিকশা বা গাড়ির জন্য পৃথক লেন করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।আরও বলা হয়েছে, অটো–সহ অনুমতিহীন গাড়ির ক্ষেত্রে গার্ডগুলিকে কঠোর হতে বলা হয়েছে। শহরের মূল রাস্তার বদলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের গলির রাস্তায় কাজে বেশি করে যুক্ত হতে নির্দেশ জারি করেছেন কমিশনার। সূত্রের খবর, কমিশনার চান ট্র্যাফিক বাহিনী সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঠিক আচরণ করে চলুক। রাস্তায় কেউ বিপদে পড়ে সাহায্য চাইলে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা যেন সাহায্য করতে এগিয়ে যান, সেই নির্দেশও দিয়েছেন নতুন কমিশনার।