শহরের বেআইনি নির্মাণ🐽 রাশ টানতে শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে বেআইনি নির্মাণ রুখতে একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডি💃ওর) তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। সেই এসওপি অনুযায়ী বড় সড় বেআইনি হলে কোনও শুনানি হবে না। সরাসরি নির্মাণ ভেঙে দেবে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভা এলাকায় যদি🍌 কোনও ছোটখাট বেআইনি নির্মাণ হয় তবে তা আইনসম্মত করার উপায় চালু রয়েছে। অনেকে সময় দেখা যায় নির্মাণে বারান্দা দু-তিন ইঞ্চি অতিরিক্ত বাড়িয়েছেন। কোথাও বা দেখা যায় কার্নিশ বড় করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বৈধ বা রেগুলারাইজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে তৈরির হচ্ছে বড় বেআইনি কাজ হচ্ছে। সেগুলি পুরসভার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেগুলির ক্ষেত্রে আর শুনানিতে না গিয়ে সরাসরি ভেঙে ফেলা হয়ে।
শুক্রবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন কাউন্সিলর অনিন্দ্যকিশোর রাউত। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'অনেকে দু-তলা তিনতলার প্ল্যান পাশ করিয়ে চার-পাঁচতলা তুলে ফেলছে। কিংবা একচিলতে জমিতে নির্মাণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাশের বাড়ির গা ঘেষে বাড়ি তোলা হচ্ছ𒀰ে। মেয়রের মতে, এই সমস্ত ক্ষেত্রে অযথা শুনানি করে কোনও লাভ নেই। কারণ তাতে সময় নষ্ট হবে। তারই মধ্যে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই দ্রুত তাকে ভেঙে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পুরসভার স্লোগান হবে ডু ইট নাও।'
আরও পড়ুন। গার্ডেনরিচ কাণ্ডের ৫ দিন পর তদন্ত কম🃏িটি গড়ল KMC, ৭ দিনে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ
নতুন এসওপি অনুযায়ী এক-দুই ইঞ্চি বাড়লে তাকে ছোট অপরাধ হিসাবে গন্য করা হবে। সেক্ষেত্রে ৪০০(১) ধারায় বেআইনি ঘোষণার আগে শুনানি🦹 হবে। কিন্তু যদি গোটা এক তলা বা তারও বেশি বেআইনি হলে আর শুনানি হবে না। সরাসরি বাঙি ভেঙে দেওয়া হবে।
এর আগে দেখা গিয়েছে প্রোমোটার বেআইনি করলেও তার শাস্তি হচ্ছে না। সেই আইনকে আরও কড়া করছে পুরসভা। বেআইনি হলে প্রোমোটা♛রের কড়া শাস্তির বিধান রাখা হবে। আইন তৈরি করে পাঠানো হ𝓰বে বিধানসভায়।
একই সঙ্গে বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়েও কড়া হচ্ছে পুরসভা। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বাড়ি ভাঙার অর্ডার হয়ে যাওয়ার পরও ঢিমেতালে কাজ চলেছে। নতুন আইনে, য💃তটা বেআইনি হয়♔েছে পুরোটাই দ্রুত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছেন মেয়র।