করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের গ্রাফ নিম্নগামী। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে বলে খবর। সেটাকে কিভাবে সামলানো যাবে? এই প্রশ্ন নিয়েই গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি বোর্ডের বৈঠক বসেছিল। নবান্নে চলে এই জরুরি বৈঠক। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাত সমুদ্র পার করে আমেরিকা থেকে ছুটে এলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এই বোর্ডে তিনিও রয়েছেন বিশেষ পদে।বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জরুরি আলোচনা হলো নবান্নে। তারপর বাঙালি অর্থনীতিবিদকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড তাঁর অনুপস্থিতিতেই বারবার দায়িত্ব নিয়ে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এই বোর্ডেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেও আমেরিকা থেকে অনলাইনে হাজির থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। আর আজ আমেরিকা থেকে রাজ্যে আসায় আমরা আপ্লুত।রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি ভালো। দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যুর হার অনেকটা কম, বাড়ছে পজিটিভিটি রেট। এখন তৃতীয় ঢেউ ভাবিয়ে তুলেছে। তাই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে এখন করোনা মোকাবিলার সবরকম পরিকাঠামো রয়েছে। আমাদের হাতে অক্সিজেন আছে, পরীক্ষার সবরকম ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলেও সবরকম সুবিধা আছে। এবার সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব, এই প্রস্তুতির খবর সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যাতে সকলে সময়মতো অসুস্থ হলেই চিকিৎসা করাতে পারেন। এখন থেকে সকলেই জেনে রাখুন, অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।’করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্তরের পরামর্শ গ্রহণের জন্য গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড তৈরি করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে আছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আমেরিকা থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন বৈঠকে যোগ দিতেন। তাঁর মূল বক্তব্য, দ্রুত রোগ চিহ্নিত করা জরুরি। তারপর দ্রুত টিকাকরণের ব্যবস্থা করা। এবার সাধারণ মানুষকে তাঁর পরামর্শ, সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে সুচিকিৎসার। তা কাজে লাগানো উচিত।